সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
হুলেন লোপেতেগি ছাঁটাই হয়েছেন এখনো এক সপ্তাহ হয়নি। এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার কাছে ৫-১ গোলের ভরাডুবির পরই রিয়াল মাদ্রিদ বরখাস্ত করেছে স্পেন দলের সাবেক কোচকে। এর পর থেকেই বাজারে গুঞ্জন, কাকে কোচ বানাবে রিয়াল?
কখনো নাম শোনা গেছে অ্যান্তোনিও কন্তের, নতুন করে নাম শোনা গেছে লিওনার্দো জার্ডিমের। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সান্তিয়াগো সোলারির নামও আসছে। কিন্তু সবাই জানেন, রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের প্রথম পছন্দ মরিসিও পচেত্তিনো। টটেনহাম হটস্পারের এই আর্জেন্টাইন কোচকে এর আগেও বেশ কয়বার দলের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন পেরেজ। দলের সংকটে পচেত্তিনোর দিকে আরেকবার নজর পড়তেই পারে তাঁর। সোলারির অধীনে রিয়াল টানা দুই ম্যাচ জেতার পরও পচেত্তিনোকে ঘিরে গুঞ্জন থামছে না।
২০১৪ সাল থেকে স্পারসদের দায়িত্বে আছেন পচেত্তিনো। এ দলের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক তাঁর। এ দলের সঙ্গে সম্পর্কে এখন ছেদ টানার ইচ্ছে নেই তাঁর। তাই রিয়াল ও তাঁকে নিয়ে সৃষ্ট এসব খবরকে পাত্তাই দিচ্ছেন না পচেত্তিনো। এ ধরনের গুঞ্জন কেন সৃষ্টি হয়, তাঁর ব্যাখ্যাও আছে আর্জেন্টাইন কোচের কাছে। সেটাও শুনিয়েছেন মজা করে, ‘ব্যাপারটা হলো এমন, আপনি আর আপনার স্ত্রী দুজনে হাত ধরে রাস্তায় হাঁটছেন। কিন্তু আপনি সুদর্শন তাই অন্য মহিলা আপনার দিকে তাকাচ্ছে। আপনার স্ত্রী এতে কিন্তু গর্বিত। তাই এ নিয়ে ভয় না পেয়ে খুশি হচ্ছে এবং আপনার প্রেমে নতুন করে পড়ছে।’ পচেত্তিনোর এই ‘স্ত্রী’ যে টটেনহাম আর ‘অন্য নারী’ যে রিয়াল মাদ্রিদ সেটা বুঝতে সাংবাদিকদের অসুবিধা হয়নি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দলবদলে সব দলই টাকার বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। কিন্তু নিজেদের একাডেমির খেলোয়াড় ও বুদ্ধিদীপ্ত দলবদল করেই টানা তিনবার লিগের শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে টটেনহাম। পচেত্তিনো যে টটেনহাম ছেড়ে রিয়ালে যেতে চান না সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন এরপরই। একটি চমৎকার যাত্রার মাঝপথে আছেন, আরও অনেক দুর যেতে চান পচেত্তিনো, ‘টটেনহামে যে সময়টা যাচ্ছে এটা দারুণ উদ্দীপক। টটেনহামকে বিশ্লেষণ করতে চাইলে, আমরা এখন যাত্রার মাঝপথে আছি। তীরের পৌঁছাতে এখনো অর্ধেকটা বাকি। আমার ধারণা, আমরা সব সমস্যা সমাধান করে তীরে পৌঁছাতে পারব এবং ক্লাব ও ভক্তরা তাদের যা প্রাপ্য, সেটা পাবে। আমরা সবাই যা চাই, সেটা হলো শিরোপা জয়।’
ইঙ্গিতটা পরিষ্কার, পচেত্তিনো শিরোপা জিততে চান তবে সেটা রিয়ালের হয়ে নয়, টটেনহামের হয়ে।
Leave a Reply