রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
গত বুধবার গভীর রাতে নোয়াখালী জেলার চাটখিল পৌর শহরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি দোকান মালামাল সহ পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার মালিকরা জানান। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ি ও রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়।
বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ১ টার সময় মৌসুমী গার্মেন্টস থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন আশেপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে মৌসুমী গার্মেন্টস, লাইফ কেয়ার (ঔষধের দোকান), রনি গার্মেন্টস, রাজ্জাকপুর ট্রেডার্স, ইত্যাদি ষ্টোর, চৌধুরী ষ্টোর, মানিক মোল্লা ষ্টোর, ফ্যাশন প্লাস, থ্রীÑপিচ মেলা মালামাল সহ ৯টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন অনেক চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরে সোনাইমুড়ি ও রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অনেকেই তার শেষ সম্বল হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রায়হানুল হারুন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা সরকারি সাহায্যের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছেন। চাটখিল পৌরসভার মেয়র ও বনিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারী রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়া নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরিফ, চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাউল হক ও সোনাইমুড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম উদ্দীন অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য চাটখিল ফায়ার সার্ভিসের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও আমলাতান্ত্রীক জটিলতার কারণে ফায়ার সার্ভিসটির কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফায়ার সার্ভিসটি চালু হলে অগ্নিকান্ডে এত বড় ক্ষতি হত না। চাটখিল বাজারের ব্যবসায়ীরা ফায়ার সার্ভিসটির কার্যক্রম চালু করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply