মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
রমজান মাসে নোয়াখালী জেলার চাটখিলের মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে অবাধে কোচিং বাণিজ্য চলছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিদ্যালয়গুলো এ বাণিজ্য করে আসছে। এতে করে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে চাটখিলে ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২টি সরকারি, ২৭টি এমপিও ভূক্ত এবং ২টি অনুমতি প্রাপ্ত। এগুলোর মধ্যে বর্তমানে চাটখিল পাঁচগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ব্যতিত অন্য সকল বিদ্যালয়ে পুরো রমজান মাস কোচিং চলছে। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক কোচিংÑএ অংশগ্রহন করতে হচ্ছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এবং ইংরেজি ও অংক শিক্ষার অজুহাত সহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এসব কোচিং করা হচ্ছে। কোচিং ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪শ থেকে ৭শ টাকা। এ টাকা পরিশোধ করা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। বর্তমানে কোচিং সমূহে শতকরা ৬০ ভাগ শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করলেও অন্যরা কোচিং-এ অংশ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের কোচিং ফি বিদ্যালয়ের মূল বেতনের সাথে পরিশোধ করতে হবে। শাহাপুর বাজারের রিকসা চালক আবুল ফজল মিয়া জানান, তার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ৯ম শ্রেণিতে পড়ে। বর্তমানে তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া রমজান এবং ঈদের খরচের বাড়তি চাপ পড়েছে। তার উপর মেয়ের কোচিং ফি দিতে হবে ৭শ টাকা। তিনি এটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের সম্মতিক্রমে শিক্ষকগণ বিদ্যালয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোচিং বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য তারা রমজান মাসে কষ্ট করে কোচিং করাচ্ছে। এর বিনিময়ে যে অর্থ আসবে তা ঈদে সকল শিক্ষক ভাগ-বাটোয়ারা করে নিবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হানুল হারুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার নিকট এমন কোন অভিযোগ নাই। তবুও তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, কোচিংয়ের ব্যাপারে তার নিকট কোন অভিযোগ নেই। এ ধরনের কোন অভিযোগ আসলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply