সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
হঠাৎ করে জার্মানের চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দলীয় সভানেত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জার্মানির রাজনৈতিক অঙ্গনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। টানা ১৮ বছর দলীয় সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম বড় শরিক দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলের সভানেত্রী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সোমবার (২৯ অক্টোবর) দলীয় সভানেত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে গত রোববার জার্মানির হেসেন প্রদেশ পার্লামেন্টের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন নির্বাচনে খারাপ ফলাফল করার পর চ্যান্সেলর ম্যার্কেল দলীয় সভানেত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে হামবুর্গে অনুষ্ঠিতব্য ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলের সম্মেলনে।
প্রথা অনুযায়ী ক্ষমতাসীন জার্মান চ্যান্সেলরই দলের ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি বা সভানেত্রীর পদ অলংকৃত করেন। তবে আঙ্গেলা ম্যার্কেল ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মান চ্যান্সেলর পদে তার মেয়াদকাল পূর্ণ করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর আমলে বিগত সময়গুলোতে জার্মানি অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী দেশে পরিণত হয়েছে।
জার্মানির ১৬ প্রদেশে পৃথক পৃথক প্রদেশ পার্লামেন্টে রয়েছে। তবে কোনো প্রদেশ পার্লামেন্টের নির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য দলীয় প্রধানের পদত্যাগ করার ঘোষণাটি বিরল। সোমবার দলীয় বৈঠকে তাঁর এই সিদ্ধান্ত ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের অনুসারী এবং জার্মানির জনগণকে অবাক করেছে।
২০০৫ সাল থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর পদে থাকা আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মতো জনপ্রিয় কোনো নেতা বা নেত্রী এ মুহূর্তে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নে না থাকলেও সাবেক দলীয় পার্লামেন্ট প্রধান ফ্রিডরিশ মের্স দলীয় প্রধানের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথমে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলের সম্মেলনেই আঙ্গেলা ম্যার্কেলের উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন।
সোমবার বার্লিনে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলের সদর দপ্তর কনরাড আডেনআওয়ার হাউসে দলীয় সভার পর ম্যার্কেল সাংবাদিকদের জানান, তিনি চ্যান্সেলর হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি এবং দলীয় প্রধানের পদ থেকে তাঁর প্রস্থান দলে আরও উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ করে দেবে।
Leave a Reply