বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
চাটখিল (নোয়াখালী) সংবাদদাতা: নোয়খালী জেলার চাটখিল পৌরসভার যুবলীগ নেতা রবিউল হক রবিন (২৮) কথিত অস্ত্রমামলায় কারাবাসের অভিযোগ উঠেছে। রবিন চাটখিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছয়ানী টবগা গ্রামের মাইঝের ভুইয়া বাড়ির লোকমান হোসেনের ছেলে।
রবিনের পিতা লোকমান হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, রবিন গত ৫ জানুয়ারি বিকেলে সহেল, সজিব, বাবুসহ কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ছয়ানী টবগা গ্রামের ডাঃ নাজমুল আলমের চেম্বারের সামনে নুরে আলমের চা দোকানে আড্ডা দেওয়ার সময় ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় তার নিকট তার ব্যবহারিত মোবাইল সেট ছাড়া অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় তার সাথে থানা হাজতে দেখা করেছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন, পৌর কাউন্সিলর নওশাদুল করিমসহ অনেকে। একই দিন রাত সোয়া এগারোটায় থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়। মামলা নং-০৩। ছয়ানী টবগার জনৈক নুরনবীর নার্সারির ভিতর থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি এবং ২টি রাউন্ড কার্টুস উদ্ধারের মামলায় তাকে জড়ানো হয়। এটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে। মামলায় জানা যায় থানার এস আই দুলাল বড়–য়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে রবিনকে হাতে নাতে অস্ত্রসহ আটক করে। রাত সোয়া এগারোটায় এ মামলা সাজানো হলেও স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয় আবু তোরাব গ্রামের আবুল কাশেম, ঘাটলাবাগ গ্রামের রাজীব ও জয়নাল আবদীনকে। আবু তোরাব ও ঘাটলাবাগ গ্রাম ছয়ানী টবগা গ্রাম থেকে প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার দূরে।
রবিনের পিতা লোকমান জানান, দীর্ঘদিন থেকে তার চাটখিল বাজারের দোকান দখল করতে একটি প্রভাবশালী মহল চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ায় রবিন এবং তার পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশকে প্রভাবিত করে তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কাছে তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর বিচার দাবি করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সামছুদ্দিন জানান, মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোন কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
Leave a Reply