সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাটখিলে খালে মিললো ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার চাটখিলে ব্যবসায়িকে অপহরন-চাঁদা দাবি -থানায় মামলা চাটখিলের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপারেশন ক্লিন লীগ’ ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতার বন্যা দুর্গতদের মাঝে এন আর বি ব্যাংকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাটখিলে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র লীগের হামলার অভিযোগ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের এস আই ক্লোজড সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে গুলি করে হত্যা
চাটখিল সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

চাটখিল সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালী জেলার চাটখিল সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন সাব-রেজিষ্ট্রার। বিনা রশিদে প্রতি মাসে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই ব্যাপারে মহাপরিদর্শক নিবন্ধক (আই.জি.আর) এর কার্যালয়ে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।
সরেজমিনে সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে গিয়ে অফিসের সাথে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সাব-রেজিষ্ট্রার সিরাজুল ইসলাম এখানে আসার পর থেকে তিনি সরকারি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি প্রতি বুধবার অফিস ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যান। আবার রবিবার দুপুরে আসেন। অফিসের নিয়ম অনুযায়ী প্রধান সহকারী সহ অন্যান্য অফিস সহকারীদের দিয়ে কাজ না করিয়ে তার অনুগত এম,এল,এস,এস মাকসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ কে দিয়ে তার ইচ্ছামত কাজ করান। এতে করে অফিস সহকারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দলিল রেজিষ্ট্রিতে সরকারি টেক্সের বাহিরে সেরেস্তাখাত দেখিয়ে বিনা রশিদে দলিল প্রতি লাখে ছয়শত টাকা হারে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। এতে বছরে প্রায় কোটি টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া এম,এল,এস,এস মাসুদ দলিলে ও খাম বহিতে টিপ নিতে গিয়ে দলিল প্রতি আরো একশত টাকা করে আদায় করে থাকে। সাব-রেজিষ্ট্রারের স্বেচ্ছাচারিতা এবং তার অনুপস্থিতির কারণে দলিল দাতা, গ্রহিতা এবং দলিল লেখকরা অনেক ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। তার এইসব কর্মকান্ড এবং অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী ও লেখকদের পক্ষ থেকে আই,জি,আর এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় নি। অভিযোগ রয়েছে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ জেলা রেজিষ্ট্রার সহ আই,জি,আর অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে। তাই তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ভূক্তিভোগীরা এই ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এই ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার সাব-রেজিষ্ট্রার সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 dailychatkhilkhobor.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com