সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
চাটখিল (নোয়াখালী )প্রতিনিধি: ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধ নোয়াখালী জেলার চাটখিলের খিলপাড়া বাজারটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। এতে করে বাজারের ব্যবসায়ী এবং প্রতিনিয়ত বাজারে আসা লোকজন চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জানা গেছে প্রায় দেড় শত বছর আগে স্থাপিত এ বাজারে হাজার ব্যবসায়ী ব্যবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। চাটখিলের দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ লোক তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা এ বাজার থেকে করে থাকে। এখানে ১টি কলেজ ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, ৩টি মসজিদ, ১টি সাব পোস্ট অফিস, পুলিশ ক্যাম্প ও ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা সহ অনেক সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তোহা বাজারগুলো দখল হয়ে আছে। তোহা বাজারের অধিকাংশ স্থান ১ সনা বন্ধস্তের নাম করে স্থায়ী দোকানপাট গড়ে তুলেছে শতাধিক অবৈধ দখলদার। বাজারের প্রধান প্রধান গলিগুলোর অস্তিত বিপন্ন হয়েছে। গলির মধ্যে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাতে গর্তগুলো নোংরা আবর্জনার পানিতে ভরে যায়। গলির উপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের ছিটকায় ময়লা পড়ে লোকজনের জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বাজারের গলি দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ২ শতাধিক যানবাহন। তাছাড়া বাজারের বড় মসজিদের সামনে, পূর্ব বাজার, পশ্চিম বাজার, মাছ বাজার এবং শবজি বাজারে গড়ে উঠেছে সিএনজি ও রিক্সা স্ট্যান্ড। এতে করে লোকজন চলাচলে সমস্যায় পড়তে হয়।
বাজারের দূষিত পানি এবং ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য উপজেলা হাট বাজার তহবিল থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নর্দমা তৈরি করা হলেও এটি কোন কাজে আসেনি। এর দু’মাথায় পানি নামার স্থানে বড় বড় ২টি ভবন তৈরি করে নর্দমার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টিপাতে বাজারের পানি নামতে না পারায় বাজারে জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়।
৪ বছর পূর্বে বাজারটি সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ করা হলেও কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি এবং কাজের মান অত্যন্ত নি¤œমানের হওয়ায় এর অস্থিত্ব বিপন্ন হয়ে গেছে। বাজারের ব্যবসায়ী মামুনুল ইসলাম জানান, বাজারের এসব সমস্যা এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দুর্ভোগ নিয়েই বসবাস করছি আমরা। বাজারের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন বাজার ব্যবসায়ীগণ দাবি জানিয়ে আসছিল। বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ হারুন-অর-রশিদ কোং জানান, চাটখিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইজারার টাকা আদায় হয় এ বাজার থেকে। অথচ এই বাজারের উন্নয়ন হবে না এটা ঠিক নয়। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য এই বাজারের উন্নয়নের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। উপজেলা জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুর রহমান জানান, বাজার সংস্কার উন্নয়নের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে কাজ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম জানান, অতিশীগ্রই বাজারের কাজ শুরু হবে। বর্ষার কারণে ঠিকাদার কাজ করতে বিলম্ব করছেন। তিনি আরো জানান ব্যবসায়ীদের র্দীঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। এ টাকায় কাজ সম্পন্ন না হলে বাকী কাজ শেষ করতে যে টাকা লাগবে তিনি তার ব্যবস্থা করবেন।
Leave a Reply