রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্লাবন দেখা দিয়েছে। দেশের প্রধান নদীগুলোতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নীলফামারীর তিস্তা, সুনামগঞ্জের সুরমা, বান্দববানের সাঙ্গু, কক্সবাজারের মাতামুহুরী ও বাঁকখালী এবং চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীগুলোতে বন্যার পানির প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও জীবনহানির কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের তেঘরিয়া, সাববাড়ির ঘাট, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, ওয়েজখালী, নবীনগর, ষোলঘরসহ বেশ কিছু নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আবাসিক এলাকা ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া শহরের জামতলা, আরপিননগর, পশ্চিমবাজার, পশ্চিম নুতনপাড়া, শন্তিবাগসহ বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি বুধবার সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬২ সেমি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৫ মিমি. রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে। এ কারণে নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলা সদরসহ, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতকসহ বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল।
এ ছাড়া তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকার হাটবাজারগুলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ বৃষ্টিপাতের ফলে ঘর থেকে কাজের সন্ধানে বাইরে যেতে না পারায় অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছেন। এ দিকে বন্যাপরিস্থিতির আরো অবনতি হলে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। এ দিকে সুরমার পানি বৃদ্ধির কারণে বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লাসহ হাওরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলার নিচু বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকায় অনেকেই পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে সুনামগঞ্জে। গত তিন দিন বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত রয়েছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতে সুরমা, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, খাসিয়ামারা, চেলাসহ বিভিন্ন সীমান্ত নদনদীর পানি বেড়েছে।
বন্যাপরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সব উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ধার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ৩ হাজার ৭৩৫ প্যাকেট শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জেলা ও উপজেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকা ও সব উপজেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করার জন্য সোমবার রাতেই নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, ভারতের মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে সুনামগঞ্জে। গত তিন দিনের বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত রয়েছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতে সুরমা, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, খাসিয়ামারা, চেলাসহ বিভিন্ন সীমান্ত নদ-নদীর পানি বেড়েছে।
আনোয়ারপুর গ্রামের জাকেরিন চমক জানান, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ একবারেই বন্ধ রয়েছে। পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের মানুষ আতঙ্কে আছেন।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, তাহিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ তাহিরপুর-বাদাঘাট, বাদাঘাট সোহালা, বাদাঘাট-টেকেরঘাট-বাগলী সড়কও ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক একাধিক স্থানে ভাঙ্গন ও পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবান সংবাদদাতা জানান, টানা প্রবল বর্ষণে বান্দরবানের সাঙ্গু মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ দিকে সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বান্দরবানের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়া অংশে সড়কের ওপর দিয়ে কয়েক ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার থেকে এ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজালিয়া এলাকায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে বান্দরবানের থানচি সড়কের বলি পাড়া এলাকায় পাহাড় ধস ও সড়কের ওপর পানি ওঠায় সকাল থেকে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বান্দরবান রাঙ্গামাটি সড়কে যান চলাচল শুরু হলেও বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বান্দরবান সদরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ টিরও বেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সেনাবাহিনী ও পৌরসভার পক্ষ থেকে খিচুড়ি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা জানান, পাঁচ দিন ধরে রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। দিন-রাত থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বর্ষণ চলছে। টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের মাটি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফলে ঘাঘড়া এলাকায় রাঙ্গামাটি-চটগ্রাম সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতাও বাড়তে শুরু করেছে।
এ দিকে পাহাড় ধসে প্রাণহানি এড়াতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন বুধবারও অভিযান চালিয়ে শহরের অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে শহরে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫০০ লোককে সড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে।
রাঙ্গামাটির সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মনোঘর, যুব উন্নয়ন এলাকা, শিমুলতলী, ভেদভেদী, সনাতন পাড়া, লোকনাথ মন্দিরের পেছন সাইড, রূপনগর, আরশি নগর, টিভি সেন্টার এলাকা, আউলিয়া নগরসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম কাজ করছে। উল্লেখ্য, এ মাসে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর গত সোমবার কাপ্তাই কেপিএম এলাকায় এক মহিলা ও এক শিশু পাহাড় ধসে মাটি চাপায় নিহত হয়।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বেড়েছে। বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা হলো ৫২ মিটার ৬০ সেন্টিমিটার।
এলাকাবাসী জানান, গত সোমবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। এর সাথে উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। ফলে তিস্তা বেষ্টিত চর এলাকার লোকজন বন্যার আশঙ্কায় মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, সোমবার মধ্যরাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তবে কোনো বাড়িতে পানি ঢোকেনি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ দুর্বল স্থাপনাগুলো শক্তিশালীকরণে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যাপরিস্থিতিতে এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। শঙ্খ ও ডলু নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার অভ্যন্তরীণ অনেক রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ফসলের ক্ষেত, মৎস্য খামার ও পুকুর। কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের বাজালিয়া বড়দুয়ারা এলাকায় বান্দরবান সড়ক চার-পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবারের সাথে গত দুই দিন সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শঙ্খ, ডলু নদী ও হাঙ্গর খালের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে চরতি ও আমিলাইশ ইউনিয়নে প্রায় ১৫টি বসতবাড়ি শঙ্খ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে শঙ্খ পাড়ের আরো অনেক বসতবাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। এ দিকে গতকাল বাজালিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া, ছদাহা, ঢেমশা, বাজালিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, পুরানগড়, নলুয়া, পশ্চিম ঢেমশা, এওচিয়া, সোনাকানিয়া, চরতি, কাঞ্চনা ও সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছেন। লোকজন নৌকা নিয়ে যাতায়াত করছেন। উপজেলা সদরের সাথে অনেক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপজেলার চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, শঙ্খ নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে তার ইউনিয়নের দ্বীপ চরতির এলাকার মো: সাইফুল, সোয়াইব, মোক্তার আহমদ ও মফজল হোসেনের বসতবাড়িসহ পাঁচটি পাকা বাড়ি শঙ্খ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, আমি বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। বন্যাকবলিত এলাকার জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল ও ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট সংবাদদাতা জানান, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে লালমনিরহাটে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তিস্তা-ধরলাসহ ছোট-বড় সব নদীর পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তিস্তার পানি এখনো বিপদসীমা পার না করলেও যেকোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছে নদী সংলগ্ন চরাঞ্চলের মানুষেরা।
ফলে তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করছে পাউবো কর্তৃপক্ষ। বন্যায় পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা, চরদহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার-পশ্চিম কাশিরাম, চর বৈরাতী, নোহালী, শৈলমারী, ভোটমারী, হাজিরহাট, আমিনগঞ্জ, কাঞ্চনশ্বরও রুদ্ধেশ্বর, আদিতমারী উপজেলার- চন্ডিমারী, দক্ষিণ বালাপাড়া, আরাজি শালপাড়া, চরগোর্দ্ধন ও সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছা, রাজপুর, তিস্তা, তাজপুর, গোকুন্ডা, মোগলহাট, বনগ্রামসহ নদীর তীরবর্তী প্রায় ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার পানিবন্দী মানুষজন পরিবার-পরিজন এবং গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বন্যার পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, বুধবার সকালে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম।
Leave a Reply