সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
গুলজার হোসেন সৈকত, চাটখিল (নোয়াখালী): চাটখিল উপজেলা সদরে অবস্থিত চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এতে করে পাঠদানে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল গত কয়েক বছর ধরে সন্তোষজনক নয়। তাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩ শত ৬১ জন ছাত্রী রয়েছে। ১১ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও দীর্ঘ দিন থেকে ৫ জনের পদ শূন্য রয়েছে। ৪ জন কর্মচারীর মধ্যে ২ জনের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষকের শূন্য পদ গুলো হচ্ছে ইংরেজি, বাংলা, ভৌত বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান ও ধর্ম। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে শূন্য পদ গুলো পূরণের জন্য অনবিজ্ঞ গেস্ট টিচার নিয়োগ করে জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান দিনের পর দিন কমতে থাকে। ফলে বিদ্যালয়ের জে.এস.সি ও এস.এস.সি ফলাফল ভালো হচ্ছে না। এ দিকে কম্পিউটার ল্যাব সহ বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হলেও সে ধরনের কোনো কার্যক্রম চলে না। বিদ্যালয়ে দুই বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় বিধায় তিনি তার শ্রেণি কার্যক্রম সঠিকভাবে করতে পারছেন না।
এ ছাড়া গণিতের শিক্ষক মোঃ সাইমুন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ মেনে চলছেন না। তিনি নিজের ইচ্ছেমত কাসের কার্যক্রম চালায়। তার পাঠদানে ও তার আচরণে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট নয়। সাইমুন চৌধুরী তার কাছে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কেউ তার কাছে প্রাইভেট পড়তে চায় না। তার কারণ হিসেবে জানা যায়, তার পাঠদান শিক্ষার্থীরা কেউ বুঝে না এবং তিনি ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করারও অভিযোগ রয়েছে। এক কথায় বিদ্যালয়টির শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের্^র বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় ছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামছুন নাহার বিদ্যালয়ের চলমান সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের শূন্য পদ গুলো পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমীপে আবেদন নিবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান উন্নত করার লক্ষ্যে শীগ্রই শূন্য পদ গুলো পূরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
Leave a Reply