সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
দৈনিক চাটখিল খবর ডেস্ক: চাটখিল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রৌশনারা গত দেড় বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও এখান থেকে বেতন ভাতা নিচ্ছেন নিয়মিত। তার অনুপস্থিতিতে ভেটনারি সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান তার নিজের দায়িত্ব এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে করে উপজেলার খামারীদের পশু চিকিৎসায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়া খামারীরা কয়েকজন অভিযোগ করেন হাঁস-মুরগীর ভ্যাকসিন এখানে পাওয়া যায় না। এসব সরকারি ঔষধ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে এখানকার কিছু অসাধু কর্মকর্তা হাঁস-মুরগীর ভ্যাকসিন কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার রৌশনারা গত ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে এখানে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি একদিনের জন্যেও এখানে আসেননি। কিন্তু নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে তিনি প্রভাব খাটিয়ে উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতায় ঢাকা মহাখালিতে এল.আই.আর অফিসে কর্মরত রয়েছেন। এখানে ১১টি পদের মধ্যে ৭ জন কর্মরত রয়েছেন, বাকি ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে কার্যালয়ের মাধ্যমে যে সেবা পাওয়ার কথা জনগণ তা পাচ্ছে না।
তবে ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দাবি করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকার পরেও তারা কাঙ্খিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, গড়ে প্রতি মাসে ১ হাজার গরু-ছাগল ও কয়েক হাজার হাঁস-মুরগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকার কথা স্বীকার করেন।
এই ব্যাপারে ডাক্তার রৌশনারার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এখানে অনুপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তিনি ডেপুটেশনে ঢাকা মহাখালিতে এল.আই.আর অফিসে কর্মরত আছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ননী গোপাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
Leave a Reply