সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
(নোয়াখালী) সংবাদদাতা: নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানায় কর্মরত এস আই ফারুক হোসাইনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে ৪ জন নারী ও ২ পুরুষ সহ কয়েক জনকে অন্যায়ভাবে হয়রানী, শ্লীলতাহানী, দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন আরমান। আরমান সোনাইমুড়ি উপজেলা কোরকাড়া গ্রামের এস এম শামসুউদ্দিনের ছেলে। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে এর তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন চাটখিল সোনাইমুড়ি সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন কে। এ এস পি ফারুক হোসেন গতকাল বুধবার এর তদন্ত শুরু করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সোনাইমুড়ি বজরার মনির হোসের স্ত্রী রূপসা বেগম, একই গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী রাহেলা বেগম, শিমুলিয়ার আমানত রহমানের স্ত্রী রোকেয়া জাহান, শাহার পাড়ের মনিরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, প্রতিশের শাহ আলমের ছেলে দ্বীন ইসলাম, কোরকরার রহমতুল্লার ছেলে মোঃ সুজন সহ আরো লোকজনের সাথে এস আই ফারুক (বিপি- ৮২০২০০৪৬০৪) অশালীন, অশ্লীল ও আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাজ, মিথ্যা মামলা জড়ানোর হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদান, জিডি ও ক্রস ফায়ারের হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় সহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল চাটখিল সার্কেল অফিসের ভুক্তভোগী ৬ জনের মধ্যে দ্বীন ইসলাম ব্যতিত অন্য ৫ জন উপস্থিত হয়ে তারা তাদের অভিযোগ জানান। এ সময় মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী রূপসা বেগম এস আই ফারুকের বিরুদ্ধে শ্লীনতাহানী সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ আনেন। ফারুকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সামাদকে বিভিন্ন সময় লোকজন জানালেও তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো এস আই ফারুকের পক্ষে সাপাই গাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
এস আই ফারুক হোসাইন তার বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীদের আনা অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ জানান, এসআই ফারুক হোসাইনকে ২/৩ দিনের মধ্যে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই ফারুক হোসেন জানান, তিনি ভূক্তভোগীদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন জেলা পুলিশ সুপারকে দিবেন। এস আই ফারুক হোসাইনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিবেন তা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন বলে তিনি জানান।
Leave a Reply