সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
ডেইলি চাটখিল খবর ডেস্ক:
নোয়াখালীর সেনাাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসের পিয়নের হাতে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। বুধবার সকালে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুপুরে ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধর্ষক জাকির সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অস্থায়ী, দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। ঘটনার পর থেকেই সে পালাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের শাকতোলা গ্রামের কাজী বাড়ীর এক দিন-মজুরের কন্যা ও নদনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী পাশের ঘরে টিভি দেখতে যাচ্ছিলো। এ সময় একই বাড়ির জামাল আহম্মদের পুত্র ও ইউএনও অফিসের পিয়ন জাকির হোসেন ছাত্রীকে উঠান থেকে মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে জোর করে ধর্ষন করে। ধর্ষিতার চিৎকারে বাড়ীর লোকজন টের পেয়ে অন্ধকার ঘর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। ঘটনার বিচারের দাবীতে ধর্ষিতার বাবা স্থানীয় মেম্বার সহ বিচারকদের দারস্থ হয়। কিন্তু ধর্ষক জাকির হোসেন পলাতক থাকায় স্থানীয়রা সোমবার সকালে ধর্ষিতার পরিবারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠায়। পরে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইউএনও টিনা পাল বিষয়টি দেখবেন বলে ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের বাড়ী পাঠিয়ে দেন। মঙ্গলবার দুপুরে তারা পুনুরায় ইউএনও টিনা পালের কাছে বিচারের দাবিতে ধর্ণা দিলে তিনি ধর্ষিতা, ধর্ষিতার মা ও দাদির মুখে বর্ণনা শুনেন। এ সময় তিনি ধর্ষক জাকিরকেও ডেকে এনে তার সাথে কথা বলেন। এক পর্যায়ে ঘটনাটি বিশ^াসযোগ্য নয় ও মিথ্যে আক্ষা দিয়ে যা হয়েছে মিমাংশা করার প্রস্তাব দেন ইউএনও টিনা পাল। এতে ইউএনও’র উপর ক্ষুব্দ হয়ে ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা বাড়ী ফিরে যায়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের পরামর্শে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে জাকিরকে অভিযুক্ত করে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরবর্তিতে সেই অভিযোগ বুধবার সকালে মামলা হিসেবে গ্রহন করে পুলিশ।
ধর্ষনের ঘটনাটি মিমাংশার চেষ্টার বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল জানান, এ সব বিষয়ে কোন মিমাংশা চলেনা। আমি এত কাঁচা কাজ করিনা। আমার কাছে আসার পর আমি অভিযোগ কারীদেরকে বলেছি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে।
এ ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পালাতক ধর্ষক জাকিরকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply