সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
ডেইলি চাটখিল খবর ডেস্ক:
মাদারীপুর সদর উপজেলার কুমড়াখালি এলাকার একটি মসজিদে আরবি পড়তে গেলে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে মেহেদী হাসান মোল্লা (৪০) নামে এক ইমাম ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মসজিদের ওই ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এরপর বুধবার ইমামকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং স্কুলছাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ইমাম মেহেদী হাসান মোল্লা বাগেরহাট জেলার রায়েন্দা থানার রাজাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার মোল্লার ছেলে। গত একযুগ ধরে সে কুমড়াখালি এলাকার জবান খাঁন জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে চাকরি করে আসছেন। ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী জানায়, গত ১২ ও ১৫ অক্টোবর পড়া শেষে ইমাম তার কক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শাসায় এবং বললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে মেয়েটি তার স্কুলে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষকেরা তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তারা স্কুলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে এসে মেয়েটির কাছে তার পরিবারের লোকজন সব কিছু জানতে চায়। পরে সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি তার নানীর কাছে সব খুলে বলে। পরে এ ঘটনার কথা এলাকার লোকজন জানতে পেরে ইমাম মেহেদী হাসান মোল্লাকে আটক করে। এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ইমাম মেহেদীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। বুধবার সকালে ঐ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মেহেদী হাসানকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর পিতা জানান, ইমাম মেহেদী হাসানকে এলাকাবাসী আটক করে চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ এসে তার মেয়েসহ ইমামকে থানায় নিয়ে যায়। আমি মামলা করেছি এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, রাত ৯ টার দিকে এলাকাবাসী আমাদের ঘটনাটি জানালে আমরা সেখান থেকে মেহেদী হাসান নামে একজনকে থানায় নিয়ে আসি।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শশাংক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘একটি মেয়ে রাতে ধর্ষণের অভিযোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মেডিকেল চেকআপের জন্য আলামত সংগ্রহ করেছি। বর্তমানে মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply