সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
গুলজার হোসেন সৈকত, চাটখিল (নোয়াখালী):
চাটখিলে এস.এস.সি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন গরিব অভিভাবকরা। ধার দেনা করে এবং অনেকেই কিস্তিতে ঋণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এগুলো দেখবাল করার কেউ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এস.এস.সি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি ১ হাজার ৯শ ৭০ টাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত থাকলেও অধিকাংশ বে-সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রায় সকল মাদ্রাসায় ফরম পূরণের ফি নামে ৩ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
চাটখিল পৌর শহরের ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে রশিদের মাধ্যমে ২ হাজার ১শ ৭০ টাকা এবং বিনা রশিদে শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে ২ হাজার ২শ টাকা করে অর্থাৎ সর্বমোট ৪ হাজার ৩শ ৭০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। নারায়নপুর আর.কে উচ্চ বিদ্যালয়ে একইভাবে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ টাকা, ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়েও একইভাবে ৩ হাজার ৯শ টাকা, মোহাম্মদপুর আনোয়ার আলী মাদ্রাসায় ৪ হাজার ৫শ টাকা, চাটখিল পৌর শহরের চাটখিল কামিল মাদ্রাসায় ৪ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, যেখানে সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সেইক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এইসব আচরণে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ এবং হাতাশ। এইদিকে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৌশল অবলম্বন করে এখন ২ হাজার ৩শ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা করে নিলেও প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় আবারও ২ হাজার ৩শ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা করে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এছাড়া জে.এস.সি ও জে.ডি.সি চলমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২শ থেকে ৫শ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ফরম পূরণের বিষয়ে নারায়নপুর আর.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে আলাপ করলে তিনি কোচিং ফি সহ ৪ হাজার টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। চাটখিল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও কোচিং ফি সহ ৩ হাজার ৫শ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply