সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
গুলজার হোসেন সৈকত, চাটখিল (নোয়াখালী):
নোয়াখালীর চাটখিল ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন উদ্বোধনের এক বছর পূর্ণ হলেও এখনো প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদি নেই। এতে করে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে পরকোট ইউনিয়নের পরকোট গ্রামে ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনটি স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার পর উদ্বোধন এর অভাবে ৩ বছরেও কোনো কর্যক্রম শুরু হয়নি। গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ষ্টেশনটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে কিছু জনবল ও সরঞ্জামাদি দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত দাবি পূরণ হয়। কিন্তু অদ্যাবধি প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদি না আসায় জনগণ কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চাটখিল ফায়ার সার্ভিস অফিস সূত্রে জানা যায়, এখানে ২৭টি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৫ জন এবং এরা সবাই ডেপুটেশনে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির মধ্যে হাইড্রোলিক জগ, বিধিম এপারেটর্স, স্পেটর, চেঞ্জর নেই। তাই জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে তারা কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছেন না।
চাটখিল ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মকর্তা মোঃ ইয়াছিন বলেন, জনবল সংকট ও সরঞ্জামাদির সমস্যার কথা উর্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বৃহত্তর নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাটখিলে এখনো স্থায়ীভাবে কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন ষ্টেশন থেকে কর্মী এনে আপাতত কাজ চালানো হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথাযথ নিয়মে কাজ না করায় নির্মাণের ৩ বছরের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের উত্তর পাশের সাইট ওয়ালটি ধ্বসে পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়নি। এ বিষয়ে এলাকাবাসী গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
Leave a Reply