সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
ডেইলি চাটখিল খবর ডেস্ক:
চলতি এস.এস.সি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চাটখিল উপজেলার ৬ হাজার পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্র সচিবদের একক সিদ্ধান্তে এই টাকা আদায় করায় কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এতে করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কেন্দ্র ফি প্রতি পরীক্ষার্থীর জন্য ব্যবহারিক বিষয়সহ ব্যবসা শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ৪শ ৩৫ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগে ৪শ ৬৫ টাকা থাকলেও চাটখিলে কেন্দ্র সচিবগণ নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতি শিক্ষার্থী থেকে আরো অতিরিক্ত ১শ টাকা আদায় করার জন্য কেন্দ্র সংশ্লিষ্টগণ প্রধান শিক্ষকদের থেকে দাবি করেন। একই নিয়মে দাখিল পরীক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ১শ টাকা করে আদায় করা হয়। তাদের দাবীকৃত টাকার যোগান দিতে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রবেশপত্র দিতে গিয়ে এই অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। যারা এ সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে পারেননি তারা বিপাকে পড়েছেন। কেন্দ্র সচিবদের চাপের মুখে এই টাকা আদায় করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকগণ অভিভাবকদের রোষানলে পড়েছেন।
চাটখিলে ৪টি এস.এস.সি কেন্দ্রের মধ্যে খিলপাড়া কেন্দ্রের সচিব অলি আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে এই ব্যাপারে বিভিন্ন অজুহাত দেখান। সাহাপুর কেন্দ্রের সচিব মোরশেদ আলমও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র মল্লিকা দিঘির পাড় ফাজিল মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান জানান, এস.এস.সি’র ৪ কেন্দ্র এবং দাখিলের ২ কেন্দ্র সচিবগণ একত্রিত হয়ে এই অতিরিক্ত ১শ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও মাদ্রাসা সুপার অভিযোগ করে বলেন চাটখিলে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত ফি’র চেয়ে কেন্দ্র সচিবগণ শিক্ষার্থী প্রতি আরো অতিরিক্ত ১শ টাকা হারে আদায় করে নিতে শিক্ষকদেরকে বাধ্য করেন।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস ছালামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তিনি পরামর্শ দেন অভিভাবকদের পক্ষ থেকে যেন তার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার কার্যালয়ের তিনটি ফোন নম্বরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বারবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply