সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
গুলজার হোসেন সৈকত, চাটখিল (নোয়াখালী):
নোয়াখালী জেলার চাটখিল পৌরসভার সীমানা বৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনানি শনিবার লামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ৪ ঘণ্টাব্যাপী গণশুনানি চলাকালে ৬নং পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আফছারখিল ও লামচর মৌজার এবং ৮নং নোয়াখলা ইউনিয়নের সাত্রাপাড়া মৌজার তালতলা বাজারের লোকজন ব্যানার ও পেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করে পৌরসভায় অন্তর্ভূক্তি না হওয়ার দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, চাটখিল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আফছারখিল ও লামচর মৌজা এবং নোয়াখলা ইউনিয়নের সাত্রাপাড়া মৌজার তালতলা বাজারকে পৌরসভায় অন্তর্ভূক্তির জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে লামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু ইউসুফ গণশুনানি করেন। এ সময় চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম, চাটখিল থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে এ ৩ মৌজার মহিলা ও পুরুষগণ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে পৌরসভায় অন্তর্ভূক্ত না হওয়ার দাবি জানান। এ সময় পৌরসভায় অন্তর্ভূক্তির জন্য প্রকাশ্যে কাউকে দেখা যায়নি।
গণশুনানি শেষে এর ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকগণ জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু ইউসুফ জানান, তিনি গণশুনানি সম্পন্ন করেছেন, এর ফলাফল জেলা প্রশাসককে দিবেন। জেলা প্রশাসক এটি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবেন। এ গণশুনানির ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করার কোন এখতিয়ার আমার নেই বলেও জানান।
এ দিকে গণশুনানির খবর পেয়ে গত ৩/৪ দিন থেকে আফছারখিল, লামচর এবং সাত্রাপাড়া মৌজার তালতলা বাজারের লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শনিবার সকাল থেকে তারা ব্যানার, পেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে এবং মানববন্ধন করে পৌরসভায় অন্তর্ভূক্তি না হওয়ার দাবি জানান। গণশুনানি শেষে এর ফলাফল জানতে অত্র মৌজার লোকজন ভীড় জমান।
পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তরুন এবং ৮নং নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল সোহাগ মৌজা তিনটিকে পৌরসভায় অন্তর্ভূক্তি না করার দাবি জানিয়ে লিখিতভাবে আপত্তি জানান। ঘটনাস্থলে আগত আফছারখিল, লামচর ও সাত্রাপাড়া মৌজার তালতলা বাজারের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে তারা কেউই পৌরসভায় অন্তর্ভূক্তি হতে চান না।
Leave a Reply