স্টাফ রিপোর্টার:

নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানা পুলিশ আজ বুধবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রী (২৩) কে ধর্ষনের অভিযোগে যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান শরিফ (৩০) কে ইয়াছিন হাজীর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। শরিফ বুধবার ভোরে নোয়াখলা গ্রামের প্রবাসী নুর আলমের স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ শিশু সন্তানের সামনে ধর্ষন করে। সে নোয়াখলা গ্রামের ওয়াছির বাড়ীর রফিক উল্যার ছেলে এবং উপজেলার ৮নং নোয়াখলা ইউনিয়ন (পশ্চিম) যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে ধর্ষন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অনেক মামলা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র এবং থানায় ধর্ষিতার দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর ৫টার সময় সন্ত্রাসী শরিফ একই বাড়ীর প্রবাসী নুর আলমের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়ে। ঘরের ভিতরে প্রবাসীর স্ত্রীর শয়ন কক্ষে গিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে তাকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষিতার ২ শিশু সন্তান জেগে থাকলেও তাদের সামনেই তাদের মাকে ধর্ষন করে। এ সময় শরিফ বাহিনীর কয়েকজন সশস্ত্র ক্যাডার ঘরের চারপাশে পাহারা দিতে থাকে। তাদের ভয়ে বাড়ির লোকজন কেউ এগিয়ে আসেনি। শরিফের বিরুদ্ধে থানায় ও কোর্টে ধর্ষন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি সহ অনেক মামলা থাকলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাকে এতদিন গ্রেফতার করেনি। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষনের অভিযোগ হলে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা যুবলীগ একাংশের আহবায়ক মোহাম্মদ উল্যা পাটোয়ারী তার পক্ষ নিয়ে চাটখিলে মানববন্ধন করে এর প্রতিবাদ জানায়। নোয়াখলা ইউনিয়ন সহ চাটখিল দক্ষিণ অঞ্চলের শরিফ ও তার বাহিনীর সদস্যদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে এলাকাবাসী। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।

থানায় ধর্ষিতা সাংবাদিকদের জানান, তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তার ২ শিশু সন্তানের সামনে তাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষন করে শরিফ পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলে পুলিশ দুপুর আড়াইটার সময় তাকে গ্রেফতার করে। থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল মিয়া জানান, ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে শরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শরিফের সহযোগীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।