সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার বীর উপাধী দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করেছেন, কেউ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আবার কেউ সূর্য্য সন্তান বলে আখ্যা দিয়েছেন। আসলে যে যে নামেই আখ্যা দেয়া হোক না কেন, মুক্তিযোদ্ধাগণ জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশ মাতৃকার টানে দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে যুদ্ধ করে। ৯ মাস যুদ্ধ করে তারা বিশ্ব মানচিত্রে লাল সবুজের একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন। তাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ এ জাতি। এমন একজন যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মাসীহুর রহমান। তিনি চাটখিলের পরিচিত এবং আলোচিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন। ১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। গর্বিত এ যোদ্ধা বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন।
৩ ছেলে ও ১ মেয়ের গর্বিত জনক গাজী মাসীহুর রহমান বর্তমান বছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে দেশে থেকে সহযোদ্ধাদের সাথে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারছেন না। আমেরিকা থেকে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তার সহযোদ্ধাদের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাতে ভুলণ্ঠিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজী মাসীহুর রহমান যুদ্ধচলাকালীন সময় হাটপুকুরিয়ায় অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ভারতের দেরাদুন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। ট্রেনিং শেষে দেশে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধাদের সংগঠিত করেন। যুদ্ধকালীন সময় নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির বগাদিয়া, মান্দারী বাজার, মল্লিকা দিঘীরপাড় বাজার পানপাড়া ও সর্বশেষ রামগঞ্জ মুক্ত করতে রামগঞ্জে কমান্ডার হিসেবে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধকালীন সময়ে মান্দারী ও রামগঞ্জে যুদ্ধ করার সময় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে আহত হন। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর তিনি এলাকায় মল্লিকা দিঘীরপাড় উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি চাটখিল থানা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
Leave a Reply