সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
দৈনিক চাটখিল খবর ডেস্ক:
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাটখিল পৌর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খালেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ খালেদ হোসেন জুয়েলকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। মামলায় পুলিশ যে ২ জন কে সাক্ষী দেখিয়েছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না মর্মে আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেন। এর পরেও মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় খালেদ প্রতিনিয়ত মানসিক বিপর্যয়ে ভুগছেন। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। এ ব্যাপারে জুয়েল পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেও কোন ফল পায়নি। গত শনিবার বিকেলে ব্যবসায়ী মোঃ খালেদ হোসেন জুয়েল চাটখিল প্রেসকাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে তাকে হয়রানির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার গ্রামের বাড়ী খিলপাড়া ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুরের প্রতিবেশী আমেরিকা প্রবাসী শাহাদাত হোসেন তুহিনের সাথে তাদের দীর্ঘদিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে তুহিন বিভিন্ন সময় তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। গত ২০১৯ সালে তুহিন জুয়েলের বিরুদ্ধে ঢাকার কাপরুল থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যা তদন্তে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হওয়ায় জুয়েল খালাস পায়। বর্তমান বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি জুয়েল ঢাকার বারডেমে চিকিৎসাধীন তার শাশুড়ীকে দেখার জন্য আল বারাকা পরিবহনে রাত ৮ টায় চাটখিল থেকে রওনা হন। বাসটি সোনাইমুড়ি গেলে ডিবি পুলিশের এস আই আশিকুর রহমান জুয়েলকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে তাকে বাস থেকে নামিয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরের দিন তার ব্যাগে একটি দেশীয় অস্ত্র এবং ২টি কার্তুজ উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাকে জেল হাজতে পাঠায়। মামলায় সোনাইমুড়ী বাজারের ২জন ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন ও ইমাম হোসেন কে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়। এই ২ জন গত ১৫ মার্চ এফিডেভিটের মাধ্যমে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গিয়ে এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে সাক্ষ্য দেন। তারপরেও মামলাটি নিষ্পত্তি হয়নি।
জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, তুহিন ডিবি পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে আমাকে পাষানোর জন্য এ নাটক সাজিয়েছে। ব্যবসায়ী জুয়েল এ হয়রানীমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন সকল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, জুয়েলকে অস্ত্র মামলায় হাজতে প্রেরণ করার খবর পেয়ে ঐ দিন ২৫ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম ঘটনা জানার পর ঐ সময়ে তাঁর ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জুয়েলকে পাষানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে পুলিশ এই নাটক করেছে এবং তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। জুয়েলকে গ্রেফতারের পরের দিন খিলপাড়া এলাকায় কয়েক হাজার লোক তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
Leave a Reply