সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
গুলজার হোসেন সৈকত, চাটখিল (নোয়াখালী):
নোয়াখালী জেলার চাটখিলে কৃষক এখন বোরো ধান রোপন করছে। এতে করে কৃষক এখন ব্যস্ত। তবে দিনমজুরের সংকট থাকায় এ কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১ পৌরসভা এবং ৯ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চাটখিলের জনসংখ্যার শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে বর্তমানে বছরে ১ বার বোরো ধান চাষ হয়ে থাকে। আউস এবং আমন ধান তেমন হয় না। এক ফসলী বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এখানকার কৃষক। বর্তমানে বোরো ধানের চারা রোপন শুরু হয়েছে। এজন্য জমিতে পানি দেওয়া, হাল চাষ করা সহ সকল কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপন শেষ হয়েছে। বর্তমানে শীতের তীব্রতা একটু কম থাকায় কৃষকের বোরো ধান রোপন করতে কষ্ট কম হচ্ছে। শংকরপুর গ্রামের কৃষক মনির হোসেন চৌকিদার বাড়ির আবুল হোসেন জানান, চাটখিলের লোকজনের মধ্যে অনেকে প্রবাসে চলে গেছে, আবার অনেকে বিভিন্ন পেশায় চলে যাওয়ায় এখানে দিনমজুরের সংখ্যা কমে গেছে। এতে কৃষিকাজে দিনমজুরের সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দিনমজুররা এসে এখানে কৃষিকাজ করছে, দিনমজুরের পারিশ্রমিকও বেশি দিতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রীড হীরা-২ সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। তাছাড়া হাইব্রীডের মধ্যে হীরা-১, বালিয়া-২, এসএল-৮, আগমনী, জনকরাজ, ময়নাগোল্ড, ঝলক, সোনার বাংলা-৬ এবং উফসীর মধ্যে ব্রিধান-৫৫, ৫৮, ৯২ চাষ হচ্ছে। এখানে বর্তমান বছরে ৬ হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫শত হেক্টরে হাইব্রীড এবং ১ হাজার ২শত হেক্টরে উফসী ধান চাষ করা হবে। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা শেষ হয়েছে। বর্তমান বছরে আবহাওয়াসহ সকল কিছু অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
চাটখিল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্তমান মৌসুমে কৃষক যাতে সফলভাবে বোরো ধান চাষ করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে সেজন্য তারা মনিটরিং করছেন। কৃষকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সকল সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আসছেন।
Leave a Reply