সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাটখিলে খালে মিললো ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার চাটখিলে ব্যবসায়িকে অপহরন-চাঁদা দাবি -থানায় মামলা চাটখিলের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপারেশন ক্লিন লীগ’ ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতার বন্যা দুর্গতদের মাঝে এন আর বি ব্যাংকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাটখিলে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র লীগের হামলার অভিযোগ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের এস আই ক্লোজড সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে গুলি করে হত্যা
চাটখিলে এলপিজি’র নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে বিক্রি -ভোক্তা হয়রানি চরমে

চাটখিলে এলপিজি’র নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে বিক্রি -ভোক্তা হয়রানি চরমে

চাটখিলে এলপিজি’র নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে বিক্রি -ভোক্তা হয়রানি চরম

চাটখিল প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গৃহস্থালিতে রান্নায় বহুল ব্যবহৃত ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯টাকা নির্ধারণ করে। নির্ধারিত মূল্য ভোক্তা পর্যায়ে গত ৩ জুলাই থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা ছিল। ঐ নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ায় গত ৫ জুলাই বিইআরসি দেশের সব জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য চিঠি দেয়। ঐ চিঠিতে ভোক্তা অধিদপ্তরকেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। বিইআরসি’র ঐ নির্দেশনা চাটখিলে পরিপালন না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে বিক্রি করছে। এতে ভোক্তারা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে।

গতকাল বুধবার উপজেলার শাহাপুর, সোমপাড়া, দশঘরিয়া, খিলপাড়া ও চাটখিল পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন কোম্পানীর ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানীভেদে দেল্টা ১১৮০, বেক্সিমকো ১২০০ ও বসুন্ধরা কোম্পানির এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার এসব মূল্য একেক বাজারে একেক মূল্যও লক্ষ্য করা গেছে। এসময় কয়েকজন ক্রেতার সাথে সরকার নির্ধারিত এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ৯৯৯ টাকা করা হলেও অধিক দামে কেন কিনছে জানতে চাইলে তারা জানান, ব্যবসায়ীদের কাছে ভোক্তা জিম্মি! যার জন্য ব্যবসায়ীর নির্ধারিত মূল্যেই তাদের এলপি গ্যাস কিনতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাটখিল পৌর বাজারে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা হরিলুট শুরু করেছে।

এবিষয়ে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভুইয়া সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিইআরসি কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কোন নির্দেশনা ডিসি মহোদয় কর্তৃক তিনি পাননি। পরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান। নোয়াখালী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের নাম্বারে দীর্ঘক্ষণ ধরে বারবার ফোন দিলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোন বক্তব্য জানা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 dailychatkhilkhobor.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com