সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাটখিলে খালে মিললো ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার চাটখিলে ব্যবসায়িকে অপহরন-চাঁদা দাবি -থানায় মামলা চাটখিলের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপারেশন ক্লিন লীগ’ ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতার বন্যা দুর্গতদের মাঝে এন আর বি ব্যাংকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাটখিলে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র লীগের হামলার অভিযোগ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের এস আই ক্লোজড সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে গুলি করে হত্যা
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে উপজেলার প্রায় ৩ লাখ জনসাধারনের স্বাস্থ্য সেবার আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা গ্রহনের আশায় প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ শত রোগী আসেন। কিন্তু রোগীরা এসে বসে অপেক্ষা করতে হয় কখন ডাক্তার সাহেব তার বেসরকারি হাসপাতালের ডিউটি শেষ করে আসবে তার জন্য। নিয়ম অনুযায়ী সার্বক্ষণিক হাসপাতালটিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে গিয়ে আর,এম,ও ছাড়া কোন চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় হাসপাতালটিতে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও ডাক্তার কামাল হোসেন (এনেস্থেশিয়া) স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে ব্যস্ত রয়েছেন।
সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি তড়ি ঘড়ি করে ১১ টায় হাসপাতালে ফিরে আসেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়েও কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তিনি হাসপাতালটি পরিচালনা করে আসছেন, সকালে হাসপাতালে এলেও তিনি ব্যস্ত থাকেন বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সিডিউল নিয়ে , সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল এরিয়াতে থাকার কথা থাকলেও উনি দুপুর একটা থেকে দেড়টার মধ্যে পার্শ্ববর্তী লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় উনার মালিকানাধীন প্রাইভেট হাসপাতাল ফেমাস হাসপাতালে চলে যান, এবং সেখানেই থাকেন, প্রতিদিনই তার কর্মের চিত্র এমনটি।

সরকার নির্দেশিত বৈকালিক চেম্বারে গিয়ে কেবলমাত্র আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শহীদুল ইসলাম নয়ন ব্যতিত অন্য কোন চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। বিকেলে ৪ টায় হাসপাতালে অবস্থান কালে জানা যায়, জরুরী বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন ডাঃ হাসান খায়ের। তবে তাকে না পেয়ে এই প্রতিবেদক তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি তার দায়িত্ব চলার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি তার বাসায় আছেন জরুরী বিভাগে রোগী এসে কল দিলে তিনি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা প্রদান করবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী জানান প্রতিষ্ঠানের প্রধান যেখানে নিয়মের তোয়াক্কা করেন না সেখানে অন্যরা তো অনিয়মের এই সুযোগ গ্রহণ করবেই।

হাসপাতালের এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোশতাক আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন একজনের অনুরোধে আমি এই সিজারিয়ান অপারেশনটা করতে গিয়েছিলাম।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার সাথে কথা বললে তিনি জানান,অধিকতর গুরুত্বের সাথে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 dailychatkhilkhobor.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com