সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার
টেকমাফ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টেকনাফের ৬টি মামলার পলাতক আসামী মাদকের গডফাদার রেজাউল করিমকে গ্রেফতারের অভিযানে গিয়ে পুলিশ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বিদেশী পিস্তল।
অবৈধভাবে বাড়ীতে অস্ত্র রাখার অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে তাউসিফুল করিম রাফি (১৫) নামের স্কুল ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। রেজাউল করিম মেম্বারের পরিবার মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত।
মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে টেকনাফের মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী করিম মেম্বার।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে বিভ্রান্তিমুলক, মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে মুল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে হ্নীলা দরগাপাড়া এলাকাস্থ মাদকসম্রাট ও ৬টি মামলার পলাতক আসামি রেজাউল করিম মেম্বারকে গ্রেফতার অভিযানের যায় টেকনাফ থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে করিম মেম্বার পালিয়ে যায়।
অভিযানের সময় পুলিশ এই মাদকসম্রাটের বাড়ি তল্লাশী করে বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করে। অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তাউসিফুল করিম রাফি (১৫) কে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর মোটা অংকের টাকার বিনিময় রেজাউল করিম মেম্বার তার পুত্র তাউসিফুল করিম রাফি (১৩) কে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এতে পুলিশ রাজি না হওয়ায় করিম মেম্বার টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও থানা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বেড়াচ্ছে। এই মাদক ব্যবসায়ী সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে, সত্য ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিম মেম্বার (৩৭), পিতা- মৃত আবুল কাসেম, ঠিকানা সমূহ স্থায়ী : গ্রাম হৃীলা ইউপি (দরগা পাড়া, মধ্য হ্নীলা, ৫নং ওয়ার্ড), উপজেলা/থানা- টেকনাফ, জেলা -কক্সবাজার। তার নামের ৬টি মামলা রয়েছে। তার ভাই সাইফুল করিম (২৮) এর নামে হত্যাসহ বহু মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
রেজাউল করিমের নামে থাকা মামলাগুলোর তালিকায় রয়েছে, টেকনাফ থানার মামলা নং ৬ (২) ২০২২ ধারা ১৪৩/৩২৩/৩৫৪/৫০৬ দঃবি, টেকনাফ থানার মামলা নং -৮০ (৯)২০২৪ ধারা অস্ত্র আইনের ১৯এ/১৯(এফ),
ঢাকার রমনা মডেল থানার মামলা নং ২০ (১০) ১০১৬ ধারা- ১৯(১) এর ৯(খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, টেকনাফ থানার মামলা নং-১১ (১১) ২০০৮ ধারা- ৭/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, টেকনাফ থানার ,এফআইআর নং-৮৭ (৪) ২০১৯ ধারা- ৩৬(১) সারণির ১০(ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮, টেকনাফ থানার মামলা নং-২৯ (৬) ২০২৪ ধারা ৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬(২) দঃবি।
এছাড়া রেজাউল করিমের সহোদর সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে রয়েছে, টেকনাফ থানার মামলা নং-২৩ (১১) ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০, টেকনাফ থানার, মামলা নং-২৩(৭) ২০২২ ধারা- ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৩৮/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮, টেকনাফ থানার মামলা নং-৬১ (৬) ২০২২ ধারা- ৩৬(১) সারণির ১০ (গ)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮।
Leave a Reply