মঙ্গলবার, ২২ Jul ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ন
টয়লেটে এবং পোশাক পরিবর্তনের ঘরে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ‘স্পাই ক্যাম পর্ন’ একটা বড় সমস্যা হয়ে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গত বছরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ছয় হাজারের বেশি।
টয়লেটে এবং পোশাক পরিবর্তনের ঘরে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে তা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে পরে তা পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটে ছেড়ে দেয়া হয়।
এটা ঠেকাতে এখন থেকে টয়লেটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি প্রতিদিন একবার করে পরীক্ষা করবেন সেখানে কোনো ক্যামেরা বসানো আছে কি না। এতদিন মাসে একবার চেক করা হত সেখানে কোনো গোপন ক্যামেরা আছে কি না।
এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা বলছেন, সিউলে বাড়তে থাকা এ ধরনের অপরাধ যদি অচিরেই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় তবে তা অন্যান্য দেশেও একইভাবে ছড়িয়ে পরতে পারে। আর তখন সেটি প্রতিকার হবে খুবই কঠিন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে হাজারো নারী এই স্পাই ক্যাম পর্নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিলেন। সেই বিক্ষোভে বলা হয়েছিল, যেকোনো সময় নিজেদের অজান্তেই পর্নোগ্রাফির ভিডিও বা ছবির বিষয়বস্তু হয়ে যেতে পারেন এমন আতঙ্কে রয়েছেন নারীরা।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পাই ক্যাম পর্নের শিকার ৮০ শতাংশ নারী।
বলা হয়ে থাকে প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির একটি হলো দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতিই এ ধরনের অপরাধীকে সনাক্ত করার কাজটা কঠিন করে তুলেছে।
Leave a Reply