সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাটখিলে খালে মিললো ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার চাটখিলে ব্যবসায়িকে অপহরন-চাঁদা দাবি -থানায় মামলা চাটখিলের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপারেশন ক্লিন লীগ’ ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতার বন্যা দুর্গতদের মাঝে এন আর বি ব্যাংকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাটখিলে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র লীগের হামলার অভিযোগ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের এস আই ক্লোজড সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে গুলি করে হত্যা
চাকরি স্থায়ীর দাবিতে অনশনে অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা

চাকরি স্থায়ীর দাবিতে অনশনে অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন ও ধর্মঘট করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প সেকায়েপের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি)। সোমবার সকাল থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রেস ক্লাবের সামনে কথা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা মো. আবদুল বাতেনের সঙ্গে। তিনি জানান, গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খেরখেটি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। গত ডিসেম্বরে সেকায়েপ প্রকল্প শেষ হওয়ার পর চাকরি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন হাজারো তরুণ-তরুণী তাদের চাকরি এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদফতর কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে (সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এ্যানহেন্সমেন্ট (সেকায়েপ) নামে এ প্রজেক্টে অর্থায়ন করে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষক ম্যানুয়ালে দেয়া হয়েছিল প্রকল্পের মেয়াদ শেষে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির আশ্বাসও।

সেকায়েপ প্রজেক্টের এই অতিরিক্ত শিক্ষককে পরবর্তী সমন্বিত প্রকল্পে রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাই এই শিক্ষকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু মাসের পর মাস বিনাবেতনে পাঠদানের পর অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা আজ ক্লান্ত। এখন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে তারা ক্লাস ছেড়ে রাজপথে নেমেছেন।

জানা গেছে, ঝরেপড়া শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা, অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে কোচিং নিরুৎসাহিত করা, বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতনসহ নানা ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই শিক্ষকরা। সেকায়েপ শিক্ষকদের কারণে দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে পাসের হার বেড়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২১৫ উপজেলায় এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এই শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসের আগে এবং প্রত্যেক শুক্রবার বা অন্যছুটির দিনে ক্লাস নিতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 dailychatkhilkhobor.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com