সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন ও ধর্মঘট করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প সেকায়েপের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি)। সোমবার সকাল থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রেস ক্লাবের সামনে কথা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা মো. আবদুল বাতেনের সঙ্গে। তিনি জানান, গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খেরখেটি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। গত ডিসেম্বরে সেকায়েপ প্রকল্প শেষ হওয়ার পর চাকরি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন হাজারো তরুণ-তরুণী তাদের চাকরি এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদফতর কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে (সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এ্যানহেন্সমেন্ট (সেকায়েপ) নামে এ প্রজেক্টে অর্থায়ন করে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষক ম্যানুয়ালে দেয়া হয়েছিল প্রকল্পের মেয়াদ শেষে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির আশ্বাসও।
সেকায়েপ প্রজেক্টের এই অতিরিক্ত শিক্ষককে পরবর্তী সমন্বিত প্রকল্পে রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাই এই শিক্ষকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু মাসের পর মাস বিনাবেতনে পাঠদানের পর অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা আজ ক্লান্ত। এখন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে তারা ক্লাস ছেড়ে রাজপথে নেমেছেন।
জানা গেছে, ঝরেপড়া শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা, অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে কোচিং নিরুৎসাহিত করা, বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতনসহ নানা ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই শিক্ষকরা। সেকায়েপ শিক্ষকদের কারণে দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে পাসের হার বেড়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২১৫ উপজেলায় এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এই শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসের আগে এবং প্রত্যেক শুক্রবার বা অন্যছুটির দিনে ক্লাস নিতেন।
Leave a Reply