সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। । আজ বৃহস্পতিবার নরওয়েতে চলছে এ সামরিক মহড়া। প্রায় ৫০ হাজার সেনা, ১০ হাজার সামরিক যান, ৬৫টি যুদ্ধজাহাজ, ২৫০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে শুরু যাওয়া ‘ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার ১৮’ নামের এ মহড়াটি চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩১টি দেশ এ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। নরওয়েতে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ১৯৮ কিলোমিটার দূরে মহড়াটির আয়োজন করা হয়েছে।
আসলে এ মহড়ার মাধ্যমে রাশিয়াকে বাহুবল দেখাচ্ছে ন্যাটো। গত মাসে চীন-মঙ্গোলিয়াকে নিয়ে তিন লাখ সেনার অংশগ্রহণে সাইবেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া দেয় রাশিয়া। সেনাসদস্য ছাড়াও ৩৬ হাজার সামরিক যান, ১ হাজার যুদ্ধবিমান ও ৮০টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নেয় ওই মহড়ায়। ‘ভোস্তক-২০১৮ (প্রাচ্য-২০১৮)’ নামের ওই মহড়ায় রাশিয়া তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। ওই মহড়ার পর ন্যাটোর শক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সন্দেহ প্রকাশ করেন। সবার মুখে ছাই দিয়ে এবার বিশাল এ মহড়ার আয়োজন করল ন্যাটো।
গতকাল বুধবার নরওয়েতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপের নিরাপত্তা পরিবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে নষ্ট হয়েছে। ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার ১৮ আমাদের জোটভুক্ত দেশগুলো এবং সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে। ন্যাটো মুখোমুখি সংঘর্ষে যাচ্ছে না, তবে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে পুরো জোট রক্ষার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
এদিকে অসলোতে রাশিয়ার দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচারকে তাঁরা রাশিয়াবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ মহড়া উসকানিমূলক। স্টোলটেনবার্গের আশা, রাশিয়া ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এড়িয়ে চলবে।
Leave a Reply