সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাটখিলে খালে মিললো ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার চাটখিলে ব্যবসায়িকে অপহরন-চাঁদা দাবি -থানায় মামলা চাটখিলের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপারেশন ক্লিন লীগ’ ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতার বন্যা দুর্গতদের মাঝে এন আর বি ব্যাংকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাটখিলে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র লীগের হামলার অভিযোগ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের এস আই ক্লোজড সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে গুলি করে হত্যা
টেকনাফে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত ১

টেকনাফে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত ১

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় দুই দল ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া নাফ নদীর তীরসংলগ্ন এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি দেশীয় অস্ত্র (এলজি), ১০টি গুলি ও ৬ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম হামিদ হোসেন ওরফে লুলাইয়া (৩৫)। বাড়ি উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী গ্রামে।

পুলিশের তথ্যমতে, নিহত ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে করা তিনটি মামলাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি পলাতক ছিলেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ভোররাতের দিকে মাদকবিরোধী অভিযান শেষে হ্নীলা এলাকা থেকে টেকনাফে ফিরছিল পুলিশের একটি দল। পথে দমদমিয়া এলাকায় পৌঁছালে নাফ নদীর তীরে কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে পুলিশ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে প্রায় ৫০টি গুলি ছোড়ে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের আশপাশ থেকে দুটি দেশীয় অস্ত্র (এলজি), ১০টি গুলি ও ৬ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় ইয়াবা, অস্ত্র, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এ বছরের ৩ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৈরি ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় ১ হাজার ১৫১ জনের নাম আছে। এর মধ্যে টেকনাফ উপজেলায় তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৯১২ জন এবং গডফাদার ৫২ জন। এদের ২২৯ জনের বাড়ি হ্নীলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। আর ৫২ জন গডফাদারের মধ্যে ১৯ ইয়াবা ব্যবসায়ী থাকেন হ্নীলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। তালিকার মধ্যে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচজন সদস্যও রয়েছেন। এঁরা হলেন—৩ নম্বর ওয়ার্ডের শামসুল আলম বাবুল (কারাগারে), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল উদ্দিন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল হোসেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হুদা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 dailychatkhilkhobor.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com