সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
গবেষকেরা সম্প্রতি একধরনের থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যা রক্তনালি জটিল জ্যামিতির নকশা প্রিন্ট করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি কৃত্রিম ধমনি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কোষ তৈরি করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিইউ) বোল্ডারের গবেষকেরা এ নিয়ে গবেষণা করেন। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার কমিউনিকেশনস’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা বলছেন, লেয়ার বাই লেয়ার বা স্তরে স্তরে প্রিন্ট করার পদ্ধতিতে বস্তু কতটুকু কঠিন হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের এ গবেষণার ফল চিকিৎসার ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করবে। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের মতো সমস্যায় এটি কাজে লাগানো যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো (সিইউ) বোল্ডারের সহযোগী অধ্যাপক শিয়াবো ওয়িন বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল, থ্রিডি কাঠামোতে স্বাধীন মেকানিক্যাল উপাদান যুক্ত করা, যা শরীরের স্বাভাবিক কোষের মতো কাজ করে। এই প্রযুক্তি ক্ষুদ্রকাঠামো তৈরির সুবিধা দেয়, যা রোগের ধরন বুঝে কাস্টমাইজড করা যাবে।
গবেষকেরা বলেন, হৃদ্রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ধমনি ও টিস্যু প্রতিস্থাপনের জন্য একটি সমাধান সব সময় চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল। এ সমস্যা দূর করতে গবেষকেরা অক্সিজেনের ভূমিকা কাজে লাগিয়ে অনন্য একটি উপায় বের করেছেন, যা থ্রিডি প্রযুক্তিতে প্রিন্ট করা কাঠামোর ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়।
গবেষক ইয়ংহুই ডিং বলেন, আমরা এমন একটি স্তর ব্যবহার করেছি, যা অক্সিজেন পরিবহনের হার নির্দিষ্ট করে। অক্সিজেন পরিবহন ও আলোতে উন্মোচন হয়ে পড়ার বিষয়টি কঠোর নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকছে; অর্থাৎ যে কাঠামোটি তৈরি হবে তার কোন অংশটি নরম আর কোন অংশটি শক্ত হবে, তা ঠিক করার সুবিধা থাকবে। সুস্থ একটি কোষ যেভাবে কাজ করে, হুবহু সে রকম কোষ তৈরির পথে দারুণ অগ্রগতি এটি।
গবেষকেরা বলেন, তাঁদের তৈরি প্রিন্টারে ১০ মাইক্রোন বা মানুষের চুলের ১০ ভাগের ১ ভাগ আকারের বায়োমেটারিয়াল তৈরি করা সম্ভব। এ বিষয়ে গবেষণা করে প্রযুক্তিটির আরও উন্নয়ন করা সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা।
Leave a Reply