সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
এক অর্থবছরেই বাংলাদেশ রেলওয়ে এক হাজার ৮৫২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৬ হজার টাকা লোকসান দিয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি। সংসদের বৈঠকে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়। আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের নীট লোকসান ছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৬ হজার টাকা। ওই অর্থবছরে রেলের আয় ছিল এক হাজার ২৮৯ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আর ব্যয় ছিল তিন হাজার ১৪২ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
একই দলের সাংসদ সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় সংশ্নিষ্ট জেলাগুলোতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের রেলপথ স্থাপনের ভৌত নির্মাণ কাজ আগামী আগস্টের মধ্যে শুরু হবে। রেলপথে ঢাকা অংশের স্টেশনগুলো হল ঢাকা, গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
একই দলের আরেক সাংসদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে যাত্রী পরিবহন উত্তরোত্তর বাড়ছে। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে যাত্রী ছিল ছয় কোটি ৪৯ লাখ, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ছিল ছয় কোটি ৭৩ লাখ, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে সাত কোটি ৮০ হাজার এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে যাত্রী ছিল সাত কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগের সাংসদ মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্টোরেল প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত চালুর সিদ্ধান্ত রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজধানীবাসী মেট্টোরেলে যাতায়াত করতে পারবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম উদ্দীনের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৭-২০০৮ অর্থবছর থেকে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর পর্যন্ত বিআরটিসি লাভে ছিল। কিন্তু নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফলে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৪৭৩ কোটি টাকা বিআরটিসির লোকসান হয়েছে।
Leave a Reply