সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কিছু কিছু বিষয়ে বাম জোটের ভিন্নমত আছে। তবে তারা মনে করছে যে সাংবিধানিকভাবে, সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন সম্ভব। আর সংবিধানের ভেতরে থেকেও আরও কিছু সমস্যা আছে, যেগুলো সমাধান করা সম্ভব।
মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আটদলীয় বাম জোটের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাম জোটের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের মত ও পথের অনেক গড়মিল আছে। আবার চেতনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের, এখানে একটা মিল আছে। স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব, এ ব্যাপারে উভয়ের মধ্যে মিল আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা শুনেছি। আমাদের নেত্রী মুগ্ধ মনোযোগে সবার বক্তব্য শুনেছেন। আটদলীয় জোটের অলমোস্ট সব পার্টির সদস্যরা বক্তব্য রেখেছেন। তাঁদের ভিন্নমতের কথাও তাঁরা স্পষ্ট করে উচ্চারণ করেছেন। সে জন্য আমাদের নেত্রী তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আমি যখন কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে গিয়েছিলাম, তারা তখন এটা বলেছে যে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গেও নেই, বিএনপির সঙ্গেও নেই। এখন তারা আপনাদের কী বলেছে জানি না। আমরা সবার কথা শুনেছি। আগামীকাল দুপুরেও শুনব। কাল সকালে ড. কামালে হোসেনের নেতৃত্বে ১১ জন আসবেন। নাম পাঠিয়েছেন। তাঁরা দ্বিতীয় দফা সংলাপে অংশ নেবেন। আবার ২৫টি দলের সঙ্গে সংলাপ আছে সন্ধ্যা সাতটায়। কালকেই শেষ হবে সংলাপ। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে ৮ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী এ কয় দিন যে সংলাপ হয়েছে, তা নিয়ে সরকারি ও পার্টির সিদ্ধান্ত সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে জানিয়ে দেবেন।’
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। ঐক্যফ্রন্টের যে জনসভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে, সেখানে যে ভালগারিজম, অবসিনিটি—এটা আবার নতুন করে বাংলাদেশের পলিটিকসে দেখলাম। মানুষের হতাশা যখন বেড়ে যায়, তখন মানুষ বেপরোয়া হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, অনেক নেতার বক্তব্যে এটাই মনে হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত শালীনতা ছাড়া কথা বলা হয়েছে। তাঁর নামটিও উচ্চারণ করা হয়েছে অশালীনভাবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘কার মনে কী কারণে যন্ত্রণা, কী কারণে আঁতে ঘা লাগে, আমি এটা খুব ভালো করে জানি। লেখালেখিতেও লিখছেন, আবার আজকে একহাত নিলেন তো? এগুলো কেউ ভালো চোখে, ভালোভাবে নেয় না। তাদের আমি বলব যৌক্তিকভাবে কথা বলতে। ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে গেলে এটা কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য শুভফল বয়ে আনবে না। সবার হাঁড়ির খবর আমরা জানি। যাঁরা যাঁরা বড় বড় কথা বলেন এবং হঠাৎ করে এমন দুই-একজনকে দেখলাম খুব তাফালিং করছেন, এ তাফালিংটা এমনভাবে যে এরা আবার ভদ্র মূর্তি ধারণ করে। এ রকম ভাষা, এত নোংরা ভাষা, দেশের মানুষ পছন্দ করে!’
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘আসুন আন্দোলন করুন। ঘরে বসে আন্দোলনের নামে রাস্তায় নাশকতা করবেন, সহিংসতা করবেন, আর আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাব? এটা যেন মনে না করেন।’
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন কোনো সরকার নেই। যে সরকার আছে, এ সরকারই।
Leave a Reply