সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
চাটখিল ও সোনাইমুড়ি (নোয়াখালী) সংবাদদাতাঃ
ঈদে বাড়ীতে পরিবার পরিজন ও আত্মীয় স্বজনের সাথে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নোয়াখালী জেলার চাটখিল এবং সোনাইমুড়িতে আসা লোকজন বর্তমানে কর্মস্থলে ফিরতে চরম ভোগান্তি পৌহাচ্ছে। তাছাড়া যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অধিক ভাড়া। এ নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে লোকজনের মাঝে চরম খোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাটখিলে প্রায় ১০ হাজার এবং সোনাইমুড়িতে প্রায় ১২ হাজার লোক এসেছেন। ঈদের পরদিন থেকে এরা কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। কর্মস্থলে ফিরতে চাটখিল এবং সোনাইমুড়ি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার বাস কাউন্টারগুলোতে ভোর রাত থেকে সারাদিন যাত্রীদের উপড়েপড়া ভিড় লেগেই থাকে। এদের মধ্যে রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও মহিলা। বাস কাউন্টারের লোকজন যাত্রীদের সাথে দূব্যবহারসহ বিভিন্ন অসাদাচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। যাত্রীগণ টিকেট পেতে ৩ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগে এ সময় তারা স্ত্রী ছেলে মেয়ে ও শিশুদের নিয়ে রাস্তার পাশেসহ খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করতে হয়। বাস কাউন্টার গুলোতে যাত্রীদের বসার কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া বাসের টিকেটগুলি অগ্রীম বিক্রি করে দেওয়ায় প্রতিনিয়ত যেসব যাত্রী আছে তারা চরম দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।
চাটখিলের দশ ঘরিয়া, হালিমার দিঘীর পাড়, পৌর বাজারে ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ২০টি কাউন্টার রয়েছে। সোনাইমুড়ির জয়াগ, বাংলা বাজার, বজরাসহ ২৫টি বাস কাউন্টার রয়েছে। তাছাড়া অগ্রিম টিকেট বিক্রির সময় যাত্রীদের থেকে নির্ধারিত ভাড়ার ছেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে নেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ঢাকার বাস ভাড়া ৩৫০ টাকার স্থলে বর্তমানে আদায় করা হচ্ছে ৫৫০ টাকা। চট্টগ্রামের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হানুল হারুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বিষয়ে কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তবে তিনি এ ব্যাপারে বাস মালিকদের তার অফিসে এনে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
Leave a Reply