সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে আদালতে আসতে চান না। ১৫০ দিনেও মামলার বিচারকাজ এগোচ্ছে না। তিনি হতাশ।’
আজ মঙ্গলবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিকালে দুদকের এই কৌঁসুলি এ মন্তব্য করেন। ১৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ বিচারাধীন। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় এ আদালত বসে।
আজ শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। আজকের তারিখ (১০ জুলাই) পর্যন্ত জামিনে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পরে দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, ‘মামলাটি দীর্ঘ বিলম্বিত মামলা। আমরা আমাদের যুক্তিতর্ক-শুনানি শেষ করেছি। একটি মামলায় খালেদার সাজা হওয়ার কারণে তিনি কারাগারে আছেন। আমরা শুনেছি, তিনি নিজেই আদালতে আসতে চান না।’
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করানোর ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ চান দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন। আদালতকে তিনি বলেন, ‘১৫০ দিন চলে গেছে, কিন্তু মামলার বিচারকাজের কোনো অগ্রগতি নেই।’
পরে আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আদেশ দিয়ে ১৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলার অপর আসামিরা হলেন হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। সেই থেকে খালেদা জিয়া কারাগারে।
Leave a Reply