সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। এরই অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগকে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী মুসলিম লীগকে আওয়ামী লীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা ছিল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দূরদর্শী চিন্তার সাহসী সূচনা।
বৃহস্পতিবার ইডেন মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইডেন মহিলা কলেজ শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৬২ সালে স্বাধীনতার বিষয়টি যখন চিন্তায়ও আসেনি এবং এ ভূখণ্ডের প্রগতিশীল রাজনীতিবীদরা সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির পিকিং ও সোভিয়েত রাশিয়া -এ দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগান দিতেন তখন বঙ্গবন্ধুর শ্লোগান ছিল ‘বাংলার মেহনতি মানুষ এক হও’।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি সুনির্দিষ্টভাবে একটি ভূখণ্ডকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন। জাতির পিতার দূরদৃষ্টির ফসল এ উপমহাদেশের একমাত্র ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে আমি গর্বিত। ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে বের করেছে, ৬৬-এর ৬ দফা, ৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান, ৭০-এর নির্বাচনে বিজয় এবং ৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা বড় শক্তিতে পরিণত করেছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দোসরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে যাতে অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে ছাত্রলীগকে এ ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে।
নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশ নেতৃত্ব প্রদানকারী একটি দেশ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। নতুন প্রজন্মকে ইন্টারনেট সভ্যতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তৈরি হতে হবে। তবে ৫০ বছরের পুরনো প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরির্বতন ছাড়া প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রযাত্রায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামসুর নাহার, কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক মাসুম ই রাব্বানী, অধ্যাপক আসমা পারভীন এবং ছাত্রলীগ কলেজ শাখার আহ্বায়ক তাসলিমা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply