সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ১০ দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত চালানো এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহামুদুল হাসান, এসময় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান, পরিবেশ অধিদফতর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. সোহরাব হোসেনসহ র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে নিরাময় হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আবদুস সাত্তার ফরায়েজী বাবুলকে ৫০ হাজার, অ্যাপোলো হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান গৌতম ভট্টকে ১ লাখ টাকা ও ডক্টরস ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স এর স্বত্বাধিকারী আজগর আলীকে ৩ লাখ ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, আজ (সোমবার) ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে সেগুলোর কোনোটির কাগজপত্র হালনাগাদ ছিল না, আবার কোনোটিতে প্রয়োজনীয় জনবল নেই। আবার একটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছি যেটির ভেতরের এবং ল্যাবের পরিবেশের অবস্থা খুবই নাজুক। সেজন্যই তাদের অর্থদন্ড করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদফতর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, নোয়াখালী জেলায় ১৩ টি হাসপাতাল ও ১৮ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ মোট ৩১ টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে। এছাড়া, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা ও ২ টির আবেদন অনুমোদন করে ছাড়পত্রের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর বাহিরে চার শতাধিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। যাদের ছাড়পত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অনুমোদনহীন হাসপাতালগুলোতে জনগণ সেবা না পেয়ে উল্টো হয়রানি হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। তাই জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সমন্বয়ে আজ তিনটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হলো।
Leave a Reply