বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
- নোয়াখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধ
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’—প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে নোয়াখালীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে, এ উপলক্ষে নোয়াখালীতে র্যালি, আলোচনা সভা, জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও সফল মৎস্য উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। এ মৎস্য সপ্তাহের কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত।
সকাল সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিআরডিবি মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। এরপর নোয়াখালী পৌর পার্ক দীঘিতে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও বিআরডিবি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বেগমগঞ্জ উপজেলা খামার ব্যবস্থাপক কে এম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন অ্যান্ড ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যে মাছ হ্যাচারিতে বড় হয় সে মাছ দৌড়াতে শিখে না, প্রাকৃতিক খাবার খেতে অভ্যস্ত না। এসব নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করছি। নোয়াখালীর ৫০ হাজার হেক্টরের মতো জমি আছে যেগুলো মাছ চাষের উপযোগী করে গড়ে নেওয়া যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মৎস্য চাষসহ কৃষিকে আধুনিকায়ন করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই একযোগে কাজ করতে হবে। পুকুর, জমি, ডোবা এসব খালি রাখা যাবেনা। পরিকল্পিতভাবে এসবে মাছ চাষ করতে হবে। নিরাপদ মাছের জন্য নিরাপদ খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মাছ শুধু আমরা নিজেরাই খাবো না, বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই। মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে, উদ্যোক্তা তৈরি হবে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও এগিয়ে যেতে পারব।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের দীঘিকে পরিকল্পিতভাবে মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হবে। নোয়াখালীর মানুষের সারা বিশ্বে অবস্থান ও আধিপত্য আছে। সেই নোয়াখালীর এত ভূমি আছে এসব যদি কাজে লাগানো যায় নোয়াখালী অনেক এগিয়ে যাবে। আমাদের মেঘনা নদী, বঙ্গোপসাগর আছে। মাছের উৎপাদনের জন্য এ ধরনের সুযোগ অন্য অনেক জেলায় নেই। এসব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতিতে নোয়াখালীর মৎসজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।
আলোচনা সভা শেষে মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের সফল উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply