সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাটখিলে খালে মিললো ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার চাটখিলে ব্যবসায়িকে অপহরন-চাঁদা দাবি -থানায় মামলা চাটখিলের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপারেশন ক্লিন লীগ’ ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতার বন্যা দুর্গতদের মাঝে এন আর বি ব্যাংকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাটখিলে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র লীগের হামলার অভিযোগ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের এস আই ক্লোজড সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে গুলি করে হত্যা
চাটখিলে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছামতো দামে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: দেখার কেউ নেই

চাটখিলে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছামতো দামে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: দেখার কেউ নেই

চাটখিলে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছামতো দামে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: দেখার কেউ নেই

চাটখিল প্রতিনিধিঃ
চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ গতিতে সাধারণ ক্রেতাদের নাবিশ্বাস অবস্থা, কোন নিয়ম-নীতির ওয়াক্কা না করে ইচ্ছা মাফিক পণ্যের দাম হাঁকিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি দোকানে পণ্যে মূল্যের তালিকা লাগানোর কথা থাকলেও কেউই নিয়ম মানছে না।
চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ও পৌর শহরে ঘুরে খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাইকারী ব্যবসায়ীদের মনগড়া দামে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছে পণ্য পরিবহনে হরতাল-অবরোধের কোন প্রভাব না পড়লেও চাটখিল পৌর শহরের সুমন স্টোর, হাজী স্টোর সহ বিভিন্ন পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি করছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির কোন সুনির্দিষ্ট কারণ জানাচ্ছে না এসব পাইকারী ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের অভিযোগ পাইকারী পর্যায়ে এক টাকা দাম বাড়লেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০টাকা বাড়িয়ে দেয়।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে চাটখিল পৌর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা মূল্যে (প্রতি কেজি) পেয়াজ ১০০-১২০টাকা, রসুন ১৮০-২২০টাকা, আলু ৬০-৭০টাকা, কাচা মরিচ ২৮০-৩০০টাকা, টমেটো ১২০টাকা, ফুলকপি-১২০টাকা, বেগুন ১০০টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, হাড়সহ গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৮০০-৮৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারী মূল্যে (প্রতি কেজি) পেঁয়াজ ৯৫-১০০টাকা, রসুন ১৪০-১৬০টাকা, আলু ৫০-৫৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চাহিদার অতিরিক্ত পণ্য সামগ্রী থাকলেও দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোন কারণ খুচরা ব্যবসায়ীরা জানাতে পারেনি। পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করেই যেন দায়সাড়া।
অনুসন্ধানে দেখা যায় পণ্যের সংকট না থাকলেও ক্রেতার সংকট রয়েছে। বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়। ক্রেতারা অনেকেই জানান, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য ক্রয় করতে পারছে না। সীমিতভাবে ক্রয় করে কোনমতে জীবনযাপন করছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বাজার মনিটরিং করলে ব্যবসায়ীরা মনগড়া দাম বৃদ্ধি করতে পারবে না বলেও অনেক ক্রেতা জানান।

খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাটখিল পৌর বাজারের পাইকারী বিক্রেতা সুমন স্টোরের মালিক সুমন হোসেনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি খুচরা ব্যবসায়ীদের চড়-থাপ্পড় দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়ার মুঠো ফোনে বুধবার দুপুরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি ফেনী ও নোয়াখালী দুই জেলার দায়িত্বে থাকায় সকল উপজেলা মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে না পারলে পরবর্তীতে তিনি চাটখিলে অভিযান পরিচালনা করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 dailychatkhilkhobor.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com