সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের পর দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের (মহাপরিকল্পনা) অধীনে তাঁর সরকার সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একই কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আরও ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট নির্মাণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দক্ষিণাঞ্চলে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কারণে ভূমি হারানো লোকদের পুনর্বাসনের জন্য গৃহীত আবাসন প্রকল্প ‘স্বপ্নের ঠিকানা’সহ ২১টি প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে সমাবেশে বক্তৃতার সময় এ কথা বলেন। আজ শনিবার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দক্ষিণাঞ্চলে একটি নৌবাহিনী ঘাঁটি এবং একটি বিমানবাহিনী ঘাঁটি নির্মাণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য একটি সেনানিবাস নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যেই পটুয়াখালীর তালতলি এলাকায় একটি শিপবিল্ডিং এবং একটি শিপ রিসাইকেলিং শিল্প স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বপ্নের ঠিকানা প্রকল্পে ১৩০টি পরিবার তাদের ঘর পেয়েছে। তারা একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র। এটি বাস্তবায়িত হলে বিপুলসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানও হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করতে পারমাণবিক শক্তি কমিশন সমীক্ষা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এই এলাকায় আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে স্থানীয় জনগণের আশ্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ প্রকল্পে একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মাহবুবুর রহমানও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, চিপ হুইপ এ এস এম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ১০ বছরে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অর্জিত ব্যাপক সমুদ্র এলাকায় ব্লু ইকোনমি অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করেছে। তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে সব নদী ড্রেজিং করা হবে। তিনি দেশের চলমান উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হবে।
প্রধানমন্ত্রী পরে পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর মধ্যে বাড়ির চাবি হস্তান্তর এবং হাউজিং এলাকায় পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত ও একটি নারকেলের চারা রোপণ করেন।
Leave a Reply