সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
চার বছর হলো রিয়াল মাদ্রিদের মূল স্কোয়াডে দেখা যাচ্ছে না কোনো আর্জেন্টাইনকে। এবারের দলবদল নিশ্চিত করেছে, জানুয়ারিতে কোনো বিস্ময়কর কিছু না হলে অপেক্ষাটা পাঁচ বছর লম্বা হবে। কিন্তু এর চেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে রাজি না রিয়াল মাদ্রিদ। তাই ২০১৯/২০ মৌসুমের জন্য এ বছরই নতুন এক প্রতিভাকে কিনে নিতে চাইছে তাঁরা। রিভার প্লেটের মিডফিল্ডার এজেকুয়েল প্যালাসিয়োসকে ২০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে টানতে চাইছে তারা। কিন্তু এই দলবদল করতে গিয়ে রিভার প্লেটকে খেপিয়ে দিয়েছে রিয়াল।
বিশ্বকাপের পর প্রায় নতুন আর্জেন্টিনা দল মাঠে নামাচ্ছেন স্ক্যালোনি। ‘নতুনের কেতন’ ওড়ানোর এই সময়ে আর্জেন্টিনা দলে অভিষেক হয়েছে প্যালাসিয়োসের। রিভারপ্লেটের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাঁর। রিয়াল মাদ্রিদ নাকি তাঁকে পেতে এতটাই আগ্রহী ১৫ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজের চেয়ে আরও ৫ মিলিয়ন ইউরো বেশি দিতে এই ডিসেম্বরেই তাঁকে নিয়ে নেবে। যদিও প্যালিসিওসের এজেন্ট রেনাতো করসি দাবি করেছেন, রিয়াল নয় ইন্টার মিলান আগ্রহ দেখাচ্ছে বেশি।
তবে রিভার প্লেট নিশ্চিত করেছে রিয়ালই এই আর্জেন্টাইনকে কিনতে চাচ্ছে। সেটাও বেশ রাগ নিয়েই। রিয়াল নাকি রিভার প্লেটের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই প্যালাসিওসকে কিনতে চাইছে। সরাসরি খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলছে তারা। রিভার সভাপতি রোদোলফো ডি’অনোফ্রিও নিজের অসন্তুষ্টি লুকাননি, ‘এত দিন জানতাম এসব মিথ্যা (এ দলবদলের গুঞ্জন)। কিন্তু তা তো না। কারণ দুই পক্ষের (রিয়াল ও প্যালাসিওস) মুখপাত্র থেকে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটা সত্য। এটা আমাদের বিস্মিত করেছে। দেখে মনে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের মতো একটি প্রতিষ্ঠান ফুটবলারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে, রিভারের মতো একটি ক্লাবকে সম্মান দেখায়নি এবং সেটাও আমাদের অন্ধকারে রেখে।’
কোনো ফুটবলারকে পাওয়ার জন্য তাঁর ক্লাবকে না জানিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করলে অনেক ক্লাবই ফিফার কাছে অভিযোগ করে। রিভার প্লেট সেটা করবে কি না সেটা অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না। আর্জেন্টাইন ক্লাবের সভাপতি দুই ক্লাবের মধ্যকার গৌরবময় অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন রিয়ালকে, ‘আমি গতকালই বলে এবং আবার বলছি, আমি এটা আশা করিনি। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আমাদের যে ঐতিহাসিক বন্ধন তার সঙ্গে এটা যায় না। ডন আলফ্রেডো ডি স্টেফানো থেকে এ সম্পর্ক শুরু হয়েছিল, আজ পর্যন্ত সেটা ঠিক ছিল।’
১৯৫৩ সালে রিভার প্লেট থেকে রিয়ালে এসে ক্লাবের ইতিহাসই বদলে দিয়েছেন ডি স্টেফানো। ২০০৭ সালে সে পথেই আসা গঞ্জালো হিগুয়েইন অবশ্য অমন কিছু করে দেখাতে পারেননি।
Leave a Reply