সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন
ভরদুপুর। রৌদ্রের ঝলক পিচঢালা সড়কে মরীচিকার আবহ তৈরি করেছে তখন। সড়কের পাশেই দৈনিক সমকাল কার্যালয়ের ফটক। এমন ঝলক রৌদ্রেও ফটকে আঁধারের ঘনঘটা। শোকের ছাঁয়া যেন আঁধার নামিয়েছে এ পাড়ায়।
প্রিয়জন হারানোর বেদনায় মুহ্যমান দৈনিক সমকাল কার্যালয়ের আঙ্গিনা। কালোব্যাজ ধারণ করে অফিস করছেন সমকাল পরিবারের সদস্যরা। শোক বই খোলা হয়েছে কার্যালয়ের ভেতরে।
প্রবীণ সাংবাদিক ও সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন বিশিষ্টজনরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ শোকবই খোলা থাকবে।
সকাল থেকে শোকবইয়ে সই করেন- শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন এক্সিকিউটিভ ফারজানা আক্তার তিশা প্রমুখ।
শোকবইয়ে সই শেষে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, গোলাম সারওয়ার সাংবাদিকতা জগতের এক কিংবদন্তি ছিলেন। শিক্ষাসহ সমাজের বহু কল্যাণকর কাজে তিনি অবদান রেখেছেন। তার স্নেহ ও ভালোবাসা আমার জন্য ছিল বড় সম্পদ। জাতি একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারালো।
আবেদ খান বলেন, গোলাম সারওয়ার শুধু আমার সাংবাদিকতার বন্ধু বা সহকর্মী ছিলেন না, ব্যক্তিজীবনে আমরা একে অপরের অতি ঘনিষ্ঠ। ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করতাম। দীর্ঘ এ বন্ধুত্বে কখনও আন্তরিকতার কমতি ছিল না। তার অনুপস্থিতিতে দেশের সচেতন মানুষ হারালো একজন মুক্তিযোদ্ধা সমাজশিল্পীকে, সাহিত্যজগত হারালো অনবদ্য কথাশিল্পীকে। তার এ শূন্যতা কখনও পূরণ হওয়ার নয়।
মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু লিখেছেন, আমার সম্পাদক। আমাদের সম্পাদক। বাংলাদেশের অর্ধশতাব্দীর ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ইতিহাসে সাংবাদিকতার চড়াই-উৎরাই পথের অন্যতম বলিষ্ঠ পথিক। অগ্রপথিক।
সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, তার মৃত্যুতে গণমাধ্যম অনেকটাই এতিম হয়ে গেলো। ব্যক্তিগতভাবে আমি হারালাম পরম এক অভিভাবককে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়লো।
Leave a Reply