সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
ক্রিকেটীয় অবকাঠামো কিংবা ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে উপরের সারিতেই রয়েছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো। অস্ট্রেলিয়ার শেফিল্ড শিল্ড ও ইংল্যান্ডের ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট সারা বিশ্বের ঘরোয়ার ক্রিকেটের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এখানে খেলার মাধ্যমে নিজেদের খেলার মান উন্নয়নের সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না কেউই।
এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান শেফিল্ডে খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ দলের কেউ। তবে কাউন্টি ক্লাবে খেলেছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মোস্তাফিজুর রহমান। উস্টারশায়ারের হয়ে সাকিব পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেললেও তামিম ও মোস্তাফিজ খেলেছেন কেবল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।
কাউন্টি ক্রিকেট খেলে ফেরার পরে সাকিবের খেলার উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মত, বেড়েছিল চাপ নেয়ার ক্ষমতাও। তাই এবার বিসিবি নিজেদের উদ্যোগে বেশ কিছু খেলোয়াড়কে কাউন্টি ক্রিকেটে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। সেক্ষেত্রে বিসিবি ও কাউন্টি ক্লাবগুলো মধ্যে সংযোগসেতুর কাজ করবেন বাংলাদেশ দলের নতুন কোচ স্টিভ রোডস।
খেলোয়াড়ি জীবন ও পরে কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ রোডস। সাকিব উস্টারশায়ারে খেলার সময় সে দলের কোচিং প্যানেলেও ছিলেন ৫৪ বছর বয়সী রোডস। যে কারণে টাইগারদের কোচ হওয়ার আগে থেকেই টাইগার অধিনায়কের সাথে পরিচয় ছিল তার।
এবার ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের রোডসের এই পরিচিতি বা জানাশোনাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে বিসিবি। প্রধান কোচের মাধ্যমে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলোয়াড় পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। কাউন্টির আগামী মৌসুমেই যে কোন ক্লাবে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের।
জাগোনিউজের সাথে আলাপে নান্নু বলেন, ‘আমি তাকে (স্টিভ রোডস) বলেছি যাতে সে আমাদের জন্য কাউন্টি ক্রিকেটের দরজা খোলার ব্যাপারে কিছু করে। সে উত্তর দিয়েছে যে চেষ্টা করবে। এ মাসের ২৭ তারিখে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হলে আমরা আবারো এ ব্যাপারে আলোচনায় বসবো। খেলা না থাকলে খেলোয়াড়দের করার কিছুই থাকে না। সেসময়টা তারা ইংল্যান্ডে গিয়ে খেলতে পারে। সেখানে অনেক অনেক ক্রিকেট হয়।’
খেলোয়াড় স্কিলের উন্নতি বা মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার জন্য কাউন্টির চেয়ে আদর্শ কিছু নেই তা জানেন নান্নুও। একারণেই মূলত অনেকটা তোরজোড় করেই খেলোয়াড়দের কাউন্টি খেলার ব্যবস্থা করতে চাচ্ছে বিসিবি। তাই রোডসের মাধ্যমে কাউন্টি ক্লাবগুলোর এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করার ব্যাপারে এগুচ্ছে বিসিবি।
নান্নু বলেন, ‘প্রথমে রোডসকে ক্লাবগুলোর এজেন্টদের সাথে কথা বলতে হবে। তারপর হয়তো তারা কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে। এমন অনেক এজেন্ট আছে যাদেরকে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত দিলে যথাযথ ক্লাবের সন্ধান দিয়ে থাকে।’
তবে এক্ষেত্রে যে খেলোয়াড়দেরও আগ্রহ থাকতে সেটিও মনে করিয়ে দেন নান্নু। আর যতই আলোচনা হোক এ মৌসুমে যে আর কাউন্টি খেলার সুযোগ নেই সেটিও বলেন প্রধান নির্বাচক। সে মোতাবেক আগামী বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন মৌসুমকেই টার্গেট করছেন তারা।
‘আমরা যতো কথাই বলি, খেলোয়াড়দের মধ্যেও আগ্রহ থাকতে হবে। শ্রীলঙ্কা বা ভারতের ক্রিকেটাররা কাউন্টি খেলে নিজেদের মান উন্নয়ন করে নিচ্ছে। তবে এবছর মনে হয় না আর সম্ভব। তবে আগামী মৌসুমকে টার্গেট করেই এগুচ্ছি আমরা। এখনই পুরোপুরি নিশ্চয়তা দেয়াটা বাড়াবাড়ি হবে। তবে আমরা চাই আমাদের খেলোয়াড়রাও কাউন্টি খেলুক।’
Leave a Reply