সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাটখিলে খালে মিললো ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার চাটখিলে ব্যবসায়িকে অপহরন-চাঁদা দাবি -থানায় মামলা চাটখিলের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপারেশন ক্লিন লীগ’ ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতার বন্যা দুর্গতদের মাঝে এন আর বি ব্যাংকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাটখিলে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র লীগের হামলার অভিযোগ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের এস আই ক্লোজড সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে গুলি করে হত্যা
নতুন গিলাফে সাজানো হলো কাবা শরিফ

নতুন গিলাফে সাজানো হলো কাবা শরিফ

সুপ্রাচীন প্রথা অনুযায়ী পবিত্র হজের দিন এ গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। সেদিন বাইতুল্লাহ চত্ত্বরে ভিড় থাকে কম। এ সুযোগেই সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাবা শরিফে নতুন গিলাফ পরিয়ে থাকেন। সে মোতাবেক আজ বাদ ফজর পরিবর্তন করা হলো পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ। এ কাজে নেতৃত্ব দেন হারামাইন আশ-শরিফাইন এর সম্মানিত প্রধান ইমাম শায়খ ড. আব্দুর রহমান আস-সুদাইস।

সময় কাবা শরিফের গিলাফ নিচ থেকে তিন ফুট গুটিয়ে রাখা হয়। আর ভাজ করে রাখা গিলাফকে সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। কারণ হাজিরা গিলাফের মধ্যে ঢুকে যায়। আর এমনটি ইহরামে পরিপন্থী কাজ।

গিলাফের বিবরণ
৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি সোনা ও রূপার তার, ৪৭ থান সিল্কের কাপড় সম্বনয়ে দক্ষ কারিগরের সহযোগিতায় নির্মিত হয় কাবার ‘কিসওয়া’ বা গিলাফ। কাবা শরিফের গিলাফের মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গ মিটার। প্রতিটি টুকরোর ১ মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া। যা একটার সঙ্গে আরেকটাকে সেলাই করে যুক্ত করা হয়।

পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফের মধ্যে কুরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি গুলোকে নিখুঁতভাবে স্বর্ণের প্রলেপযুক্ত তার দিয়ে সেলাই করা হয়।

আর সম্মানজন কাজটি করে থাকেন বনি শায়বা এবং বনি তালহা গোত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পবিত্র কাবা শরিফের চাবি হেফাজতের গুরুদায়িত্বও তাদের কাছেই।

বর্তমানে যে গোত্রপতির কাছে কাবা শরিফের চাবির দায়িত্ব রয়েছে; তিনি হলেন – সিনিয়র তত্ত্বাবধায়ক সালেহ বিন জাইন আল আবিদিন আল-শায়েবা।

প্রতি বছর ২টি গিলাফ তৈরি করা হয়। যার একটি ৮-৯ মাস সময়ে হাতে তৈরি করা হয়। আর অন্যটি মেশিনে ১ মাসে তৈরি করা হয়।

কাবা শরিফের ‘কিসওয়া’ তথা গিলাফ তৈরির পাশাপাশি মদিনা শরিফের প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হুজরার গিলাফও একই স্থান থেকে তৈরি করা হয়।

পবিত্র মক্কা নগরী থেকে ৪ কিলো মিটার দূরে উম্মুল জুদ এলাকায় অবস্থিত একটি কারখানায় এ গিলাফ তৈরি করা হয়।

বাদশাহ আব্দুল আজিজ আল-সৌদ তাঁর শাসনামলে ১৩৪৬ হিজরি সালে উম্মুল জুদ আঞ্চলে এ কারখানাটি স্থাপন করেন।

এ কারখানা স্থাপনের আগে মিশর, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে এ গিলাফগুলো তৈরি করে আনা হতো।

উল্লেখ্য যে, মালিক তুব্বা নামক এক শাসক সর্বপ্রথম কাবা শরিফের গিলাফ পরিধান করান। অতঃপর বাদশাহ ফাহাদের সময়কালে ১৪০৩ ও ১৪১৭ হিজরিতে কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। এর আগে প্রত্যেক বছর কাবা শরিফে গিলাফ পরিবর্তন করা হতো না। তখন থেকেই প্রতি বছর কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।

কাবার গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরানো এবং কাবা শরিফ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাকে ইসলামের পূর্ব যুগ থেকেই সম্মানের কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা আজও বিদ্যমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 dailychatkhilkhobor.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com