সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাটখিলে খালে মিললো ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া ৬১২ বুলেট মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের করিম মেম্বার চাটখিলে ব্যবসায়িকে অপহরন-চাঁদা দাবি -থানায় মামলা চাটখিলের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপারেশন ক্লিন লীগ’ ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতার বন্যা দুর্গতদের মাঝে এন আর বি ব্যাংকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাটখিলে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র লীগের হামলার অভিযোগ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের এস আই ক্লোজড সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে গুলি করে হত্যা
পবিত্র নগরী মক্কার বিখ্যাত ৫ স্থান

পবিত্র নগরী মক্কার বিখ্যাত ৫ স্থান

পবিত্র নগরী মক্কা বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত। এ পবিত্র নগরীর কথা আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে উল্লেখ করেছেন। এ নগরী রয়েছে অগণিত অসংখ্য নবি-রাসুলের স্মৃতি বিজড়িত স্থান।

পবিত্র নগরী মক্কায় রয়েছে হজের ঐতিহাসিক স্থানগুলো। যে স্থানগুলোকে আল্লাহ তাআলা হজের রোকন হিসেবে সাব্যস্ত করে দিয়েছেন। আরাফা, মিনা, মুজদালিফা, সাফা-মারওয়া।

হজের সঙ্গে সম্পর্কিত রোকনগুলো ছাড়াও এ নগরীতে রয়েছে পবিত্র কাবা শরিফসহ প্রিয়নবির স্মৃতি বিজড়িত ৫টি বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান। আর তাহলো-

> বাইতুল্লাহ
পবিত্র কাবা ঘরকে ‘বাইতুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর’ বলা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ইবাদতগাহও এটি। পবিত্র কাবা শরিফের চারপাশ ঘিরে তৈরি হয়েছে মসজিদ আল হারাম।

Makka

৩ লাখ ৫৬ হাজার বর্গমিটার বা ৮৮.২ একর জায়গা জুড়ে বাইতুল্লাহ চত্ত্বর অবস্থিত। যে সাধারণত ১০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে। হজের মৌসুমে এ সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যায়।

পবিত্র কাবা ঘরের আঙ্গিনায় সৌদি সরকার নিজস্ব কারখানায় প্রস্তুতকৃত মোটা সাদা মার্বেল পাথর বসানো। যা প্রচণ্ড রোধেও থাকে ঠান্ডা ও শীতল। বাইতুল্লাহর জিয়ারতকারীর জন্য আরামদায়ক।

আরও পড়ুন > পবিত্র নগরী মক্কার দর্শনীয় স্থানসমূহ

> জাবালে নূর
‘গারে হেরা’ খ্যাত ঐতিহাসিক জাবালে নূর বা জ্যোতির পাহাড়। নূর পাহাড়ের চুড়ায় ১২ ফুট লম্বা, সোয়া ৫ ফুট চওড়া ও ৭ ফুট উচ্চতার ছোট গুহাই হলো গারে হেরা। এ গারে হেরা বা হেরা গুহায় ২১ রমজান মোতাবেক ১০ আগস্ট ৬১০ খ্রিস্টাব্দে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়।

Makka

পবিত্র কাবা শরিফ থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে এ পাহাড়টি অবস্থিত। স্থানীয় ও ট্যাক্সিওয়ালের কাছে এ স্থানটি ‘জাবালে নুর’ নামে সুপরিচিত।

সকাল ও বিকালে এ পাহাড়ে ওঠা যায়। রাতে এ পাহাড়ে ওঠা নিষিদ্ধ। যদিও এ পাহাড়ে ওঠার ব্যাপারে কুরআন, হাদিস ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে কোনো ফজিলত বর্ণিত হয়নি।

কিন্তু মুসলিম উম্মাহ একান্ত আবেগ নিয়ে প্রিয়নবির ধ্যানমগ্ন স্থানটি পরিদর্শনে অনেক কষ্ট করে এ পাহাড়ের হেরা গুহায় ওঠে থাকেন।

> গারে ছাওর
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের সফরের স্মৃতি বিজড়িত পাহাড় গারে ছাওড়। যদি পবিত্র নগরী মক্কা থেকে মদিনা উত্তর দিকে অবস্থিত। কিন্তু প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর নির্দেশনায় হেকমত অবলম্বন করে উত্তর দিনে না যেয়ে হিজরতের রাতে মক্কা থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্তিত গারে ছাওর-এ অবস্থান নেন।

প্রিয়নবির হিজরতের সঙ্গী ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর ছিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু। গভীর রাতে কাফের নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা বেষ্টনি ভেদ করে মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা পথে আল্লাহর নির্দেশে আত্মরক্ষায় এ পাহাড়ে অবস্থান নেন প্রিয়নবি।

মক্কার পুরস্কার লোভী রক্তপিপাসু কাফের অবিশ্বাসীরা এ পাহাড়ে প্রিয়নবিকে খুঁজতে গিয়েও ছাওর গুহার মুখ থেকে ফিরে আসে।

এ পাহাড়ে আরোহন বা প্রদর্শন সম্পর্কেও কুরআন, হাদিস এবং সাহাবায়ে কেরামের আমলে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে অনেক আবেগী মুসলমান এ উঁচু পাহাড়ে সকাল ও বিকালে ওঠে থাকে। যাতে রাতে ওঠার কোনো অনুমতি নেই।

> জুরানাহ মসজিদ
মসজিদ আল হারাম থেকে ১৬ কিলোমিটার পূর্বে হোনায়েনের পথে অবস্থিত জুরনাহ উপত্যকায়। ৮ হিজরির জুলকদ মাসে হোনায়েনের যুদ্ধে বিজয় লাভের পর এ স্থানে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধলব্ধ গনিমতের মালামাল বণ্টন করেছিলেন।

অতঃপর এ স্থান থেকে রাতের বেলা মক্কায় এসে ওমরা পালন করে মদিনার পথে রওয়ানা হন। ২৪ জুলকদ তিনি মদিনায় পৌঁছেন।

> মসজিদে তানঈম
‘মসজিদে আয়েশা’ নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভকারী মসজিদই হলো ‘মসজিদে তানঈম’। কাবা শরিফ থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তরে মক্কা-মদিনা রোডে (আল-হিজরাহ রোড) অবস্থিত এ মসজিদটি।

Makka

বিদায় হজের সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার স্ত্রী হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে তার ভাই আব্দুর রহমানের সঙ্গে হারামের বাইরে এখান থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধার জন্য পাঠিয়েছিলেন।

এ মসজিদটি ইসলামি শিল্পনৈপুন্যের এক অনুপম নিদর্শন। এ স্থান থেকেই মক্কাবাসীগণ ওমরার ইহরাম বেঁধে থাকেন।

প্রিয়নবি ও হজরত আয়েশার রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্মৃতি বিজড়িত মসজিদ দুটি (মসজিদে জুরানাহ এবং মসজিদে তানঈম) হারামের সীমানার বাইরে অবস্থিত।

পবিত্র হজ ও ওমরা পালনকারীরা ইচ্ছা করলে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্মৃতি বিজড়িত এ স্থানগুলো দেখে আসতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 dailychatkhilkhobor.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com